এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। প্রতিদিন একটা নতুন সকাল মানেই, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেল, স্কাইপি-- বিশ্বের কোনও মানুষই আর দূরে বাস করেন না। আর এই ইন্টারনেট পরিষেবাগুলো ২৪ ঘণ্টা যাতে মানুষ ব্যবহার করতে পারেন, তার জন্য এসে গিয়েছে WiFi। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে সদা যোগ রাখতে যে WiFi-এ আপনি দিনরাত বুঁদ হয়ে থাকেন, সেই WiFi যে আসলে মারণফাঁদ, তা যখন বুঝতে পারবেন, তখন আর উদ্ধারের সময় থাকবে না। হ্যাঁ, এমনই দাবি বিজ্ঞানীদের। WiFi-এর সুবিধে পেয়ে অনেকেই ২৪ ঘণ্টা অনলাইন থাকেন। স্মার্টফোন চোখ রাখেন দিনের বেশির ভাগ সময়েই। একসঙ্গে অনেকগুলো অ্যাপ ব্যবহার করার প্রবণতা বাড়ে। স্মার্টফোনটাই হয়ে যায় নেশার বস্তু। এই তীব্র WiFi-প্রেম কাটানোই ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গল, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, WiFi ও স্মার্টফোনের নেশায় বহু মানুষের মধ্যে মানসিক রোগ দেখা দিচ্ছে। কারণ স্মার্টফোন ও WiFi গ্যাজেটের মারাত্মক রশ্মি।
মার্কিন মনোবিজ্ঞানী আর ডগলাস ফিল্ডসের কথায়, 'WiFi ও স্মার্টফোনের মারণ রশ্মিতে বিপর্যস্ত বহু মানুষ। বিশেষ করে আমাদের আগামী প্রজন্ম আক্রান্ত হবে বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বারবার মাথাযন্ত্রণা, ঘুমের ব্যাঘাত, বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া, অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে স্মার্টফোনের জন্য। আসলে আমরা আধুনিক বিশ্বের ভালোটাই দেখছি। খারাপটা দেখছি না। প্রযুক্তির এই প্রভাব মহামারির চেহারা নেবে খুব শীঘ্রই। অবিলম্বে সচেতন হওয়া উচিত।-এই সময়
২৯ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ