বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জাপানি নারীরা গড়ে ৮৭ বছর ও পুরুষরা গড়ে ৮০ বছর বেঁচে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এ দীর্ঘ জীবনের মাঝে ৭৫ বছরই কাটে তাদের কোনো ধরনের প্রতিবিন্ধতামুক্ত ও সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জাপানিদের বেশিদিন বেঁচে থাকার অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস। অনেক জাপানি সমগ্র জীবন সুশি ও শাকসবজি খেয়েই কাটিয়ে দেন। এ ধরনের খাদ্য পশ্চিমা খাদ্যাভ্যাসের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আধুনিক জাপানিদের প্রচণ্ড কাজের চাপের মাঝেও উচ্চমানের ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার স্বস্তি এনে দেয়। মাছ আর শাকসবজি দিয়ে তৈরি অসাধারণ খাবারগুলো তাদের বেঁচে থাকার দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দেয়। খাবারগুলোর বেশির ভাগই সামান্য পরিমাণে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হয়।
বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, জাপানিদের প্রচলিত খাবারগুলোতে পেটের ক্যান্সার ও নানা জটিলতার ঝুঁকি কম থাকে। এসব খাবারে থাকে সামুদ্রিক উদ্ভিদ, শামুক ও অক্টোপাস।
তবে জাপানিদের কাঁচা মাছসহ কিছু খাবারে আবার পেটের নানা রোগের ঝুঁকি বেড়েও যায়। এ কারণে বিজ্ঞানীরা জাপানিদের দীর্ঘজীবনের পেছনে আরও কিছু কারণ নিয়ে গবেষণা করেন।
জাপানিদের দীর্ঘজীবন আনতে সহায়তা করে তা হলো বৃদ্ধদের মানসিক চাপ কম থাকা। জাপানি বুড়ো-বুড়িরা সন্তানদের কল্যাণে তারা বৃদ্ধ বয়সে মানসিক শান্তিতে থাকে। তাদের সাধারণত আয়-ব্যয় ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
ঐতিহ্যগতভাবেই জাপানিরা বয়স্কদের প্রতি বেশ যত্নবান। আর বয়স্করা নাতি-নাতনিদের বেশ আনন্দের সঙ্গে সময় কাটাতে অভ্যস্ত।