বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪০:১৯

পুরুষ কেন প্রতারক?

পুরুষ কেন প্রতারক?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ কেন প্রতারক কিংবা বহুগামী এ প্রশ্নটি পুরনো হলেও একজন মনোবিজ্ঞানী উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন।  কোনো কোনো পুরুষ কেন তার সঙ্গিনীর সঙ্গে প্রতারণা করেন, কেন যৌন তাড়না বহুগামীতার দিকে টেনে নেয় বিষয়টি নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন।

কাতারের দোহা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মার্টিন স্টুয়ার্ট এই গবেষণায় ৫০০ ব্রিটিশ পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এদের মধ্যে তিনি ২৭ ধরনের পুরুষের খোঁজ পেয়েছেন। তার ধারণা হয়েছে, বিবর্তনের ধারাই আসলে পুরুষকে প্রতারক করে তুলেছে।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ বলেছেন, জীবনে কখনো না কখনো তারা স্ত্রী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা এ কাজটি করেছেন তাদের বর্তমান সঙ্গিনীর সঙ্গেই। অবশ্য সবাই এমন আচরণের পেছনে কোনো না কোনো যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন।

প্রশ্নটি তখনই ওঠে যখন কোনো নারী হঠাৎই আবিষ্কার করেন যে, তার স্বামী বা প্রেমিক অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এবং ক্রমাগত মিথ্যা বলে যাচ্ছেন।

 স্টুয়ার্ট তার সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তারা সঙ্গিনীর প্রতি সৎ থাকেননি।

কেউ কেউ বলেছেন, তার প্রেমিকা শারীরিক প্রেমের বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছিলেন না। কেউ আবার বলেছেন, এটা তো শুধুই সেক্স....আমি তো আমার স্ত্রীকেই ভালোবাসি। আবার কেউ বলেছেন, প্লেটে সাজিয়ে সামনে দিলে খাব না?

যে যেমন অজুহাতই দিক না কেন ঠিক কোন কারণটি পুরুষদের প্রতারণার পথে চালিত করছে সেটিই চিহ্নিত করতে চেয়েছেন স্টুয়ার্ট। আর এখানেই চলে আসছে বিবর্তনবাদের আলোচনা।

আমরা আজ যে আচরণ করছি, অনেক ক্ষেত্রে তার শেকড় প্রোথিত সুদূর অতীতে, আমাদের আদি পুরুষের মধ্যে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, আদি পুরুষরা কেন বহুগামী হতেন? বিবর্তনবাদ অনুযায়ী, এর একটি উত্তর হতে পারে প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার তাগাদ।

স্টুয়ার্টের মতে, বিবর্তনের ধারায় পুরুষের মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিকাংশ পুরুষের মধ্যেই কম-বেশি অবিশ্বাস হওয়ার প্রবণতা রয়ে গেছে৷

মোট ২৭ ধরনের পুরুষ আছে, এদের মধ্যে কোনো কোনো ধরনের পুরুষের অবিশ্বাস হওয়ার প্রবণতা বেশি। সুতরাং সম্পর্কে জড়ানোর আগে নারীদের ভাবতে হবে, কোন ধরনের পুরুষের সঙ্গে তিনি যাচ্ছেন।

স্টুয়ার্টের এই ২৭ ধরনের পুরুষের মধ্যে একটি হলো সুযোগসন্ধানী। অর্থাৎ কারো সঙ্গে শরীরী প্রেমের কোনো সুযোগই এরা ছাড়তে চান না। পরিণতি কী হবে, সেটাও তারা ভেবে দেখেন না।

আরেক জাতের পুরুষ আছে, যারা দুর্বলতার সুযোগ নেন। এরা সবসময় পরিস্থিতিকে নিজের পক্ষে নিতে চান এবং নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পরিবারের সদস্য, বন্ধু, স্ত্রী বা সঙ্গিনীর কাছ থেকে সুবিধা আদায় করেন।

অবশ্য সব আশা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। স্টুয়ার্ট বলছেন, সমীক্ষায় তিনি বহু পুরুষ দেখেছেন, যারা এখনো সঙ্গিনীর প্রতি সৎ, বিশ্বস্ত, পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল এবং মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন।

তার সহাস্য উত্তর, ওহ না! সবাই আমাকে এই প্রশ্নটা করে। কিন্তু আমি কাউকে আমার নিজের কথা বলি না।

২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে