এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মুখে এখনো কথা ফোটেনি, তবে গলার স্বর ভেঙেছে। মুখের মাঝে হালকা গোঁফের রেখা, তা-ও আছে। আছে পিউবিক হেয়ারও। বয়ঃসন্ধির আর যা-যা লক্ষণ, সবই রয়েছে শিশুটির মধ্যে, যার বয়স মাত্রই এক! বাড়ি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে।
কেউ কেউ মজা করে বলতেই পারেন, তা ভালোই তো, এঁচোড়ে পেকেছে। কিন্তু, বিষয়টা এতটা হালকা ভাবে উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। বয়ঃসন্ধি যে কারো জীবনেই কঠিন একটা অধ্যায়। শরীরে ও মনে হঠাত্ করেই আসা পরিবর্তনের সঙ্গে ধাতস্থ হতে সময় লাগে। কিন্তু, শিশুটির জীবনে এতো তাড়াতাড়ি এই বয়ঃসন্ধি, তার অবস্থাকে আরো কঠিন করে তুলেছে।
ডেকান ক্রনিক্যাল ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আকাশ নামে দিল্লির এক বছরের এই শিশুটি ইতিমধ্যেই বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে গিয়েছে। শুধু গোঁফদাড়ি গজানোই নয়, তার মধ্যে যৌবনের আকাঙ্ক্ষাও প্রকট। স্বাভাবতই এক বছরের এই শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ ও লক্ষণে তার পরিবারের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, precocious puberty-তে ভুগছে আকাশ, যা বিরলই। হরমোনের তারতম্যের কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। ২০-২৫ বছরের যুবকের শরীরে যে মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকা উচিত, এখনই শিশুটির মধ্যে সমপরিমাণ টেস্টোস্টেরন রয়েছে।
কৈশোর ও যৌবনের সন্ধিক্ষণকেই বয়ঃসন্ধি হিসেবে ধরা হয়। ১২ বছরের পর থেকেই বয়ঃসন্ধির লক্ষণগুলো ক্রমে স্পষ্ট হতে থাকে। কিন্তু, কারো যদি ৮-৯ বছর বয়সেই সেই লক্ষণ ফুটে ওঠে, মেডিক্যালের পরিভাষায় সেই অবস্থাকে বলা হয় Precocious puberty। ঠিক কী কারণে হরমোনের এমন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তা ডাক্তারদের কাছে এখনো অস্পষ্টই।
আকাশের বাবা জানান (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক), বাচ্চার যখন মাত্র ৬ মাস বয়স, তখনই তারা লক্ষ করেন যৌবনের দিকে অস্বাভাবিক ভাবেই ধাবিত হচ্ছে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের মতো তার আকার দাঁড়াচ্ছে। ক্রমে অন্য সব অঙ্গগুলোর মাঝে পরিবর্তণ যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠতে থাকে। তাই অস্বাভাবিক কিছু যে ঘটছে, তা বুঝতে তাদের আর অসুবিধা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এই Precocious puberty-র কারণে মাত্র পাঁচ বছর সাত মাস বয়সে মা হয়েছিল পেরুর লিনা মেডিনা। ১৯৩৯ সালের ঘটনা। সবচেয়ে অল্পবয়সে মা হওয়ার সেই রেকর্ড।-টাইমস অফ ইন্ডিয়া
১ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই