নিউজ ডেস্ক : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের শেষধাপে ৬৯৮ ইউপিতে িএখন চলছে ভোট গণনা। সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যদিয়েই শেষ হবে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম পাঁচটি ধাপে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন এবং আহত হয়েছেন আট হাজারের বেশি মানুষ।
হতাহতদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস নির্বাচন হিসেবে এবারের ইউপি নির্বাচন চিহ্নিত হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক। যার কারণে নির্বাচন ঘিরে সেরকম উৎসাহ উদ্দীপনা নেই।
ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, অনিয়ম-গোলযোগ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শেষ ধাপে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শেষ ধাপের দুটি ইউপির সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা। শনিবারের ভোটের মাধ্যমে নবম ইউপির সাধারণ নির্বাচনে চার হাজার ৮৫ ইউপির ভোট শেষ হওয়ার কথা।
প্রথমবারের মতো দলভিত্তিক স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দেড় ডজন দল অংশ নিলেও মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা নবম সংদের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে। অনিয়ম-সহিংসতায় পরস্পরকে দোষারোপও করছে দল দুটো।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
ফেব্রুয়ারিতে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী সহিংসতায় শতাধিক লোকের প্রাণহানি, অনিয়ম-গোলযোগের অভিযোগের পর ইসির ‘কঠোর বার্তায়’ শেষ পর্বে ‘ভালো’ ভোটের ‘আশায়’ আছে পর্যবেক্ষক মহলও।
তারা বলছেন, শেষটায় অনেক কিছুই করা সম্ভব ইসির। পরিস্থিতি ভালোভাবে তদারকির মাধ্যমে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলেই আস্থা ফিরবে জনগণের।
প্রস্তুতি সম্পর্কে ইসির উপ-সচিব রকিবউদ্দিন মণ্ডল বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন টহলে। স্থানীয়ভাবেও নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ষষ্ঠ ধাপের ভোট তথ্য
ভোট ৪৬ জেলার ৯২ উপজেলার ৬৯৮ ইউপিতে। ভোটার ১ কোটি ১০ লাখের বেশি। ভোটকেন্দ্র ছয় হাজার ২৮৭টি। চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২২৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার এবং সংরক্ষিত পদে ৫ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ২৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চট্টগ্রামে মিরসরাইয়ের করেরহাট ও কুমিল্লার মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর ইউপির সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা। এক লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেড় লাখের মতো সদস্য নিয়োজিত থাকছেন ভোটের দায়িত্বে।
এর আগের পাঁচ ধাপে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীরা ২২৬৭ ইউপিতে ও ধানের শীষের প্রার্থীরা ৩১০ ইউপিতে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন ৬৯৬ জন।
ইসির হিসাবে প্রথম ধাপে ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৭৬ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৭৭ শতাংশ ও পঞ্চম ধাপে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
৪ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম