দশ গুণে বাঙালি নারী!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা বাঙালি নারীর সঙ্গে এ তিন বিশেষণই মানানসই। আবেগ যেমন তাদের দ্রুত স্পর্শ করে তেমনি স্বাধীনতার প্রশ্নে কিন্তু তারা সত্যিকার অর্থে অনড়৷নিজের সত্তা নিয়ে অহঙ্কার তাদের আছে বটে। তবে তার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে রয়েছে অসীম ধৈর্য্য৷
বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শাড়ি৷সেই শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে চমৎকারভাবে৷বিভিন্নভাবে শাড়ি পরতে জানেন তারা৷ আর ‘উপহার হিসেবে শাড়ি’ কোনো বাঙালি মেয়ে না চায় বলুন?
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন৷ নববর্ষ, ঈদ কিংবা দুর্গা পূজা সব উৎসবই যেন বাঙালি নারীর জন্য তৈরি৷প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে এবং সেই উৎসবের উপযুক্ত রান্নায় পারদর্শী তারা৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
পাঠক সুজন খানের কথায়, বঙ্গের নারী লাজুক প্রকৃতির কিন্তু যে কোনো উপলক্ষ্যেই প্রাণ খোলা হাসি উপচে পড়ে তাদের৷
বাঙালি নারী ‘ডায়েট’ করছেন এমনটা বেশ বিরল৷তাই খাওয়ার ব্যাপারে তারা বেশ উদার৷কথায় বলে না, মাছে-ভাতে বাঙালি। অবশ্য মাছ-ভাতের পাশাপাশি ফুসকা কিংবা চটপটি পেলে তো আর কথাই নেই৷ আসলে টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, এমনকি তেতোও পছন্দ এই নারীদের৷
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাই ধরুন৷দেশ সামলানোর কঠিন দায়িত্ব পালনের মাঝেও রান্না ঘরে যেতে ভোলেননি তিনি৷গত বছর ছেলের জন্য রান্না করার সময় তোলা তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল৷ বাঙালি মেয়েরা রাঁধতে যে ভীষণ ভালোবাসেন!
বাঙালি মেয়েদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা কি খুব কঠিন? না৷সবাই জানেন যে, কাজটা সহজই৷একটি লাল গোলাপ পেলে কিংবা প্রিয় রেস্তোরাঁয় নিয়ে গেলেই তারা সন্তুষ্ট৷
রন্্জু খালেদের মতে, বাঙালি নারীর মধ্যে ‘একইসঙ্গে দৃঢ়তা ও নমনীয়তা এবং প্রজাপতির চপলতা’ রয়েছে৷
জীবনানন্দ দাসের ‘বনলতা সেন’ কিংবা রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখের প্রশংসা পাবেন অনেক কবির কবিতাতেই৷ সত্যি বলতে কি, বাঙালি নারীর চোখ পুরুষকে টানে সবচেয়ে বেশি৷
বাংলাদেশের কিংবা ভারতের মেয়েরা চুপ করে বসে আছেন এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন৷তারা কথা বলতে ভালোবাসেন৷রান্না থেকে রাজনীতি সব বিষয়েই একটা মতামত আছে তাদের৷জিএনএস নয়নের কথায়, ‘নারী যে পুরুষের কষ্ট অতি সহজে ভুলিয়ে দিতে পারে৷এ গুণই আমাকে মুগ্ধ করে, আবার সাথে অবাকও করে৷’
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী৷বিতর্কিত বাঙালি লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাদের অনেকেরই প্রিয়৷নাসরিনের ‘আমার মেয়েবেলা’ পড়েনি এমন নারী পাওয়া মুশকিল৷
বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি নারীর গুণ কি আর অল্পতে জানানো যায়, বলুন? কিছু গুণ না হয় অজানাই থাক৷তবে একটির কথা বলে শেষ করি, বাঙালি মেয়েরা কিন্তু ঘুরতে খুব ভালোবাসেন৷
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটি নিউজ২৪/ আল-আমিন/এসআর