শনিবার, ০৪ জুন, ২০১৬, ১১:৪৬:৪৩

‘ব্লু-টুথ’ নামটা এলো কোথা থেকে?

‘ব্লু-টুথ’ নামটা এলো কোথা থেকে?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ‘ব্লু-টুথ’ এর ব্যবহার আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিন্তু এই ‘ব্লু-টুথ’ নামটা কি করে এলো, তা জানেন কি? এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির শিকড় রয়েছে মধ্যযুগে। নামকরণের নেপথ্যেও সেই মধ্যযুগেরই ছায়া।

ব্লু-টুথের নামকরণের ইতিহাস বুঝতে হলে যেতে হবে মধ্যযুগীয় স্ক্যান্ডিনেভিয়ায়। ৯৫৮ থেকে ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের ভাইকিং রাজা ছিলেন হেরাল্ড ব্লু-টুথ। ডেনমার্ক এবং নরওয়ের কিছু অংশকে একত্র করে একটি দেশের আওতায় আনতে পেরেছিলেন তিনি। ডেনমার্কের মানুষকে খ্রিস্টান করার নেপথ্যেও এই হেরাল্ড ব্লু-টুথের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

কিন্তু কীভাবে মধ্যযুগের এক ভাইকিং রাজা এ যুগের ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশনের চালচিত্রে উঠে এলেন? উত্তর একটাই। তিনি একজন ‘ইউনাইটার’। যোগাযোগ সাধনের আধার।

মধ্যযুগ থেকে চলে আসা যাক গত শতকের ৯-এর দশকে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সেই সময়ে যোগাযোগস্থাপনকারী একটি প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়েছিল। বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসে কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি তৈরি করতে। কিন্তু কোনও সংস্থার প্রডাক্টই সেই মানে পৌঁছতে পারেনি। এই টুকরো হয়ে, সকলে পৃথকভাবে চেষ্টা করার মধ্যে অশনিসংকেত দেখেছিলেন অনেকে। বাজারে টানাপড়েন তো বটেই, একক কৃতিত্ব আদায়ে নানা কৌশলের মধ্যে যে নেতিবাচক আবহ তৈরি হবে, তার সুদূরপ্রসারী ফলের কথা ভেবে অনেকে শঙ্কিত হন।

এমনই একজন ব্যক্তি ছিলেন জিম কার্ডাখ। ইন্টেলের এই ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছিলেন ওয়্যারলেস টেকনোলজি নিয়ে। যে ক’টি সংস্থা আদাজল খেয়ে বাজারে নেমেছিল, তাদের একত্র করার উদ্যোগটা তিনিই নিয়েছিলেন। সেই সময়ে কার্ডাখ ভাইকিংদের উপর একটি বই পড়ছিলেন, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন হেরাল্ড ব্লু-টুথ। প্রতিযোগী সবপক্ষকে একত্র করার কাজটা তো মধ্যযুগে হেরাল্ডই করে দেখিয়েছিলেন! আর গত শতকের ৯-এর দশকে কার্ডাখ।

এই কারণেই কার্ডাখ সেই কাঙ্ক্ষিত বস্তুটির নাম দেন ‘‘ব্লু-টুথ’’। তার পরেই রাতারাতি তৈরি হয়ে যায় ‘‘ব্লু-টুথ স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ’’। অতঃপর ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে ‘‘ব্লু-টুথ’’-এর আগমন।
৪ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে