সোমবার, ০৬ জুন, ২০১৬, ১২:০১:১৩

সমুদ্রের নিচে ব্যাকটেরিয়ার তৈরি বিস্ময়কর প্রাচীন নগরী! কি কি আছে সেখানে ?

সমুদ্রের নিচে ব্যাকটেরিয়ার তৈরি বিস্ময়কর প্রাচীন নগরী! কি কি আছে সেখানে ?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ওপর থেকে দেখলে মনে হতে পারে, তলায় লুকিয়ে থাকা কোনো সুপ্রাচীন নগরীর ধ্বংসস্তুপের শিখর! কোনও সুপ্রাচীন সভ্যতার। যেমন, গভীর সমুদ্রের মাঝে হঠাৎ দেখা যায় হিমশৈলের চূড়া (‘টিপ অফ দ্য আইসবার্গ’)! আর সেই ভাবনাটা মাথায় আসতেই পারে, কারণ যেখানে ওই ‘সুপ্রাচীন নগরী’র হদিশ মিলেছে, তা সুপ্রাচীন নাগরিক সভ্যতার দেশ গ্রিসেরই একটি দ্বীপ- ‘ঝাকিন্থস্‌ আইল্যান্ড’। সমুদ্রের ২০ ফুট গভীরতায়।

প্রত্নতত্ত্ববিদদের এই সাম্প্রতিক আবিষ্কারের খবরটি প্রকাশ হয়েছে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘মেরিন অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম জিওলজি’-তে। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হলে, সমুদ্রের তলায় ওই ‘প্রাচীন কাঠামো’টির আবিষ্কার হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগেই।

আর তখন থেকেই ভাবা হচ্ছিল, সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে থাকা ওই ‘প্রাচীন কাঠামো’টি মানুষেরই বানানো। হয়তো-বা তার তলায় লুকিয়ে রয়েছে কোনও ‘সুপ্রাচীন নগরী’র ধ্বংসাবশেষ! কিন্তু তা নয়।

গবেষণায় জানা গিয়েছে, সমুদ্রের অতটা গভীরে ওই সুপ্রাচীন কাঠামোটি বানিয়েছিল ব্যাকটেরিয়ারা। কোটি কোটি, লক্ষ কোটি ব্যাকটেরিয়া। অত বড় কাঠামো, সুন্দর, নিখুঁত কাঠামো বানানোটা তো আর সামান্য কয়েক ‘জনে’র কাজ হতে পারে না!

ওই সুপ্রাচীন কাঠামোর ‘কারিগর’রা যে আদতে ব্যাকটেরিয়া, গবেষণায় সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। আর সেই গবেষণা পত্রটি ছাপা হয়েছে ‘মেরিন অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম জিওলজি’-তে।

এটি কোনো প্রাচীন সভ্যতা বা কোনো প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ হলে সেখানে মিলত প্রাচীন মুদ্রা, থালা, বাসন। এক সময়ের জীবনের টুকরো-টাকরা চিহ্ন। তারই খোঁজে প্রত্নতত্ববিদরা ডুবুরি নামিয়েছিলেন সমুদ্রের তলায়। কিন্তু তেমন কিছুই তারা খুঁজে পাননি।

তা হলে এটা কি জিনিস? কারা বানাল এটা? সেই প্রশ্নের জবাবটা খুঁজতে গিয়েই প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানতে পেরেছেন, একেবারে ধাতব পদার্থ দিয়েই ওই সুপ্রাচীন নগরীর রাস্তাঘাট, সড়ক আর স্তম্ভ খিলানগুলো বানিয়েছিল ব্যাকটেরিয়ারা।

আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহের ‘পিলোসিন’ যুগের ঘটনা। আজ থেকে ৫৩ লক্ষ বছর আগেকার কথা। সে যুগটা ছিল আজ থেকে ২৬ লক্ষ বছর আগেও। কী ধরনের ধাতব পদার্থ দিয়ে অত দিন আগে ওই সুপ্রাচীন ‘নগরী’র ‘পথঘাট’ আর ‘স্তম্ভ, খিলান’গুলো বানিয়েছিল ব্যাকটেরিয়া?

প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন, সেই ধাতব পদার্থটা হল- ডলোমাইট।

সমুদ্রের তলদেশ থেকে বেরিয়ে আসা মিথেন গ্যাস ‘খেয়ে-পরে’ই বেঁচে থাকত ওই ব্যাকটেরিয়ারা। আর তাদের শরীরে থাকা ক্যালসিয়াম (যা, আমাদের শরীরেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে) ওই মিথেন গ্যাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করেই তৈরি করে ধাতব পদার্থ ডলোমাইট। যা একেবারেই আধুনিক সিমেন্টের মতো একটা পদার্থ। -ডেইলি মিরর
০৬ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে