এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরাটা বাধ্যতামূলক আইন। তবে এই হেলমেট পরা নিয়ে বাইকারদের মাঝে ভ্রান্ত একটি ধারণা প্রচলিত আছে। অনেক বাইকারই মনে করেন, হেলমেট পরলে চুল উঠে যায়! এর ফলে হেলমেট পরার আগে মাথায় একটা কাপড় বেঁধে নেন। ব্যাপারটা কি তবে তাই? হেলমেট পরলে সত্যি কি চুল উঠে যায়?
বাইকারদের মতে, হেলমেট পরলে হাওয়া লাগে না। দীর্ঘক্ষণ স্ক্যাল্প ঢাকা অবস্থায় থাকলে ঘাম জমে, ময়লা হয়, বাসা বাঁধে ব্যাকটিরিয়া। যার ফলে টাক পড়া অনিবার্য বলে মনে করে থাকেন অনেকে। কিন্তু ঘটনা হল, স্ক্যাল্প-এর সঙ্গে হাওয়াবাতাসের কোনও যোগাযোগ নেই। চুলের ফলিকল রক্তের থেকে যাবতীয় রসদ জোগাড় করে। তাই হেলমেট পরলেই চুল উঠে যাবে, এমন ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়।
তবে হ্যাঁ, হেলমেটের সঙ্গে চুলের একটি সম্পর্ক রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে যেমন বলা হয়ে থাকে, খুব আঁটোসাঁটো করে চুল বাঁধলে চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনেকটা সেইরকম ব্যাপার। খুব আঁটোসাঁটো হেলমেট পরলে চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। খেয়াল রাখতে হবে হেলমেটটি পরিষ্কার কি না। কেননা, নোংরা হেলমেট থেকে স্ক্যাল্পে ইনফেকশন ছড়াতে পারে। সেখান থেকে চুল উঠে যায় অনেক সময়ে।
এবারে প্রশ্ন হল, কীভাবে হেলমেট পরা উচিত? এ প্রশ্নের উত্তরে বিশেষেজ্ঞরা বলেছেন, প্রথমেই খেয়াল রাখুন, হেলমেটটি যাতে পরিষ্কার থাকে। তেমন হলে আগে মাথায় একটি রুমাল চাপিয়ে নিন। তার পরে হেলমেট পরুন। হেলমেট পরা বা খোলার সময়ে তাড়াহুড়ো করবেন না। এতেও অনেক সময়ে চুল উঠে যেতে পারে। বিশেষ করে খেয়াল রাখুন, হেলমেট যেন হয় একেবারে মাথার মাপমতো।
৭ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন