এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দিনভর বসের গোলামি করছেন। বেতন পান তো পান না। এখনই ইস্তফা দিন। আপনার জন্য রয়েছে একবারে বিনা কাজে বিশাল বেতন! চমকে গেলেন? করার কিছু নেই।
তবে হ্যাঁ, ইচ্ছা থাকলে আপনার জন্যও রয়েছে এমন সুযোগ। আগেরটা চাকরিটা ছুড়ে ফেলে দিন। সটান বসকে বিদায় জানান।
এ কাজে মেজাজ দেখানোর কোনো কারণ নেই। যাবেন আর পাবেন। আপনাকে দেয়া হবে এমন এক চাকরির সন্ধান যেখানে মাস গেলেই মোটা অঙ্কের টাকা। করবেন না আবার বসের পেছনে?
ঘটনাটা ঘটছে আমেরিকায়। ‘ওয়াই কম্বিনেটর’ নামে একটি সংস্থা পরীক্ষামূলকভাবে ‘বেসিক ইনকাম’-এর প্রথা চালু করতে চলেছে।
বেসিক ইনকাম ব্যাপারটা কী? এটা হলো একটি ধারণা, যেখানে বলা হয় যে, কেউ কাজ করুক বা না-ই করুক, কারো চাকরি থাক বা না থাক, সবাইকেই একটি নির্দিষ্ট মাসিক বেতন দেয়া হবে।
এতে তারা একসময় কাজ করতে উদ্দীপ্ত হবেন। এ পথেই নির্মূল হবে দারিদ্র্য। ‘ওয়াই কম্বিনেটর’-এর তরফে ওকল্যান্ডের ১০০ জনকে আপাতত এই ‘বেসিক ইনকাম’ দেয়া হবে এক বছর পর্যন্ত।
এদের কাজ কী হবে? যে ২,০০০ ডলার তাদের দেয়া হবে তা হাতে পাওয়ার পর তাদের নিজেদের মধ্যে কী কী পরিবর্তন আসছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাতে হবে।
তারা খুশি হচ্ছেন না হীনমন্যতায় ভুগছেন, খুশি হলে কী কী করছেন, হীনমন্যতা কাটাতে কী করছেন— এ সবই জানাতে হবে। এই টাকা দিয়ে তারা কী করলেন তাও জানাতে হবে।
‘বেসিক ইনকাম’ তত্ত্বটির গায়ে ‘ইউটোপিয়ান’ তকমা সাঁটা রয়েছে। অর্থাৎ এর বাস্তবভিত্তি কখনোই প্রশ্নাতীত নয়।
এ অবস্থায় গবেষকরা দেখতে চান, সত্যিই এতে কাজ হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে সাহায্যের মেয়াদ এক থেকে বাড়িয়ে দুই বা তিন বছর করা হবে।
মানুষের স্বভাব বোঝার পাশাপাশি গবেষকদের ধারণা, এ গবেষণা দারিদ্র্য দূরীকরণে নয়া পথ দেখাতে পারে।
৭ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম