রহস্যময় এক জীব
ক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রহস্যময় এক জীবকে বাঁচাতে চাইলে তার সম্পর্কে জানতে হবেÑ এ কথাটি পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃত এবং অপরিহার্য। বৈশ্বিক তথ্যের এ যুগে আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে সৃষ্ট জীব-জন্তু সম্পর্কে যা জানার, তা প্রায় সবই আমরা জানি।
এর থেকে বেশি কিছু জানার দরকার নেই। নতুন প্রজাতির একটি প্রাণী আবিষ্কার হয়েছে এবং হাজার হাজার প্রাণী অন্ধকারেই রয়ে গেছে যাদের সম্পর্কে খুব কম লোকই শুনেছে এবং খুব কম তথ্যই জানা গেছে।
আর এসব প্রাণীর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ আমেরিকার জায়ান্ট আর্মাডিলো। পাঁচ ফুট লম্বা এ প্রাণীটির সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। এটি একটি রহস্যময় স্তন্যপায়ী প্রাণী। কেন এটি রহস্যময়? কারণ, বিশাল শরীর নিয়েও জায়ান্ট আর্মাডিলো অদৃশ্য থাকার ওস্তাদ।
মূলত নিশাচর, জীবন কালের দুই-তৃতীয়াংশ কাটে ভূমির নিচে, দৃশ্যমান হয় গভীর অন্ধকারে শুধুমাত্র পিঁপড়া ও টারমাইটস খোঁজার সময়। পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানকারী মানুষ কালেভদ্রে তাদের দেখতে পায়। এদের উপস্থিতির একমাত্র চিহ্ন হলো- ভূমিতে বড় ও অযৌক্তিক ধরনের গর্ত।
অনুসন্ধানের সংখ্যা খুবই কম, কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে তাদের বংশ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, খাদ্য অভ্যাস ও কোনো অঞ্চলে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপাদান সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য জানা যায়নি। কেউ এটাও বলতে পাওে না যে, তারা সংখ্যায় কত এবং পৃথিবীর কোন অঞ্চলজুড়ে তাদের বসবাস।
যদিও ইতিমধ্যে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, জায়ান্ট আর্মাডিলোরা দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাস করে কিন্তু এ তথ্য প্রশ্নবিদ্ধ ও অনুমান নির্ভর। সহজ ভাবে বলা যায়, এ মহাদেশের একটা বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।
ড. ডেসবিয়েজ ও তার সহযোগী পশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডেনিলো খুইবার, জীব বিশেষজ্ঞ গ্যাবরিয়েল ম্যাসোক্যাটো এসব কিছুকে চ্যালেঞ্জ করে কাজে নেমেছেন। এই প্রাণী নিয়ে তাদের দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার বর্তমানে তৃতীয় বছর চলছে।
অবশ্য এটিই জায়ান্টদের সম্পর্কিত প্রথম গবেষণা। এই প্রযেক্টটি ডিয়ো ও রিতা কেলহে লিমা নামে দুই ব্যক্তির ব্যক্তিগত ফার্ম ‘বায়া দাস পেদরাস’কে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। ডিয়ো ও রিতা কেলহে লিমা এই প্রযেক্টটির একজন কার্যকরী সমর্থক, যদিও ২০১১ তে প্রযেক্টটি শুরুর আগে কখনো তারা জায়ান্ট আর্মিডিলো দেখেনি।
জায়ান্ট আর্মাডিলো প্রজেক্টটি অন্য কয়েকটি শাখায় বিভক্ত- তুলনামুলক ভাবে ছোট এবং এর সম্পর্কযুক্ত প্রজাতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। এসবের মধ্যে রয়েছে- ছয় ও নয় ডোরা বিশিষ্ট আর্মাডিলো এবং অপর একটি প্রজাতি যার অস্তিত্ব আছে বলে আমি জানি না, সেটা হলো নগ্ন লেজ বিশিষ্ট আর্মাডিলো।
সম্মিলিতভাবে এসব গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য স্বল্প পরিসরে জানতে পারা এসব প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখবে।
২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস