ইনিই ডাক্তার আবার নার্স-আয়া, মাথা নষ্ট হওয়া অবস্থা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সবকিছুতেই ইনি পারদর্শী। প্রয়োজন হয় না কোনো সহযোগী কিংবা বিশেষজ্ঞ সার্জারি ডাক্তারের।  অরিজিনাল সার্টিফিকেট না থাকলেও জাল সার্টিফিকেট ও সরঞ্জামে ভরা।  মাথা নষ্ট হওয়া অবস্থা!

নিজেই ডাক্তার, নিজেই আয়া ও নার্স।  ২০০৯ সাল থেকে মহিলাদের সিজারিয়ানসহ বিভিন্ন অপারেশন করে আসছেন।  ডাক্তার পরিচয়দানকারী এই ভুয়া ডাক্তার মোবারক ইসলামকে আটক করা হয়েছে।

৮ জুন বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরী বাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকার জনস্বাস্থ্য জেনারেল হাসপাতাল থেকে সেই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়।  

এরপর তাকে হাজির করা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে। আটকের সময়ও হানিফা আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরীর অ্যাপেন্ডিসাইডের অপরাশেন করছিলেন সেই ভুয়া ডাক্তার।

ভুয়া ডাক্তার মোবারক জানান, তিনি নিজেই অপারেশনের রোগীদের অজ্ঞান করে অপারেশন করে থাকেন।  

ডাক্তার পরিচয়দানকারী মোবারকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট ও সার্টিফিকেট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেলের (রাজস্ব) এসিল্যান্ড শিলু রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মোবারককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য জেনারেল হাসপাতালটিকে সিলগালা করে দেয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিলু রায় জানান, ভুয়া ডাক্তার মোবারক ইসলামকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।  জাল সার্টিফিকেট তৈরির সরঞ্জাম জব্দের ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে।
৮ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম