বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন, ২০১৬, ১০:৫৮:০৭

টাক মাথায় চুল লাগাতে গিয়ে মেডিকেল ছাত্রের মৃত্যু

 টাক মাথায় চুল লাগাতে গিয়ে মেডিকেল ছাত্রের মৃত্যু

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : টাক মাথায় চুল প্রতিস্থাপন করাতে গিয়ে মারা গেলেন ২২ বছরের ভারতীয় এক মেডিকেল ছাত্র৷ তার নাম সন্তোষ৷

সামান্য টাক পড়ে যাওয়ার কারণে তিনি গত মাসে সিদ্ধান্ত নেন, কৃত্রিম উপায়ে চুল প্রতিস্থাপন করাবেন৷ কিন্তু সেই অপারেশনের দুদিনের মাথায় তার মৃত্যু হলো।

সন্তোষের মা পি জোসেবিন পেশায় নার্স৷ স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় তিনি ভেঙে পড়েছেন৷ জোসেবিন জানিয়েছেন, কীভাবে সামান্য চুল প্রতিস্থাপন করাতে গিয়ে তাদের সন্তান মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে চিরতরে চলে গেল তা নিতান্ত অসহায়ভাবে দেখতে হলো তাদের৷

অ্যাডভান্সড রোবোটিক হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারের বিরুদ্ধে সন্তোষের বাবা-মার অভিযোগ, যারা এই অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন তারা আদৌ শল্যচিকিৎসক নন৷  

চুল প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় যে অ্যানাসথেটিস্ট সন্তোষকে বেহুঁশ করেছিলেন তিনিও শেষ পর্যন্ত থাকেননি৷

সন্তোষের মৃত্যুর পর থেকে অভিযুক্ত দুই কসমেটিক সার্জনই উধাও৷ মিসেস জোসেবিনের মন্তব্য, আমরা বিচার চাই৷ চাই দুই দোষীই শাস্তি পাক৷

এ ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ৭৩ হাজার টাকা দিতে হয়েছে আমাদের৷ এখানেই না থেমে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, এ ধরনের সেন্টারগুলি এ ধরনের সার্জারি করে দিনে ৫০ থেকে ৬০ লাখ রুপি কামায়৷

এদের কাছে টাকাই সব, মানুষের জীবনের কানাকড়িরও দাম নেই বলে জানান তিনি৷

ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, এ হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারটি যে লাইসেন্স পেয়েছিল তার বৈধতা দুমাস আগেই শেষ হয়ে যায়৷ সেখানে চীন থেকে পাস করে আসা এক কসমেটিক সার্জন ছিল, কিন্তু কসমেটিক সার্জারির উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা সেখানে ছিল না৷

তার উপর এ সেন্টারে কোনো অপারেশন থিয়েটারও নেই বলে জানা গেছে৷ সন্তোষের মৃত্যুর পর পুলিশ প্রশাসন এই সেন্টারটি সিল করে দিয়েছে৷

পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ সন্তোষের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ ঘটনার প্রসঙ্গে এক পুলিশ অফিসার শুধু বলেছেন, এই রোবোটিক হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারটির মূল কার্যালয় আসলে পুণেতে৷

এছাড়া সাতটি শহরে তাদের ১৭টি শাখা রয়েছে৷ মাসে কমপক্ষে ৩৫ জন করে এমন মানুষ পায় তারা।
৯ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম্এ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে