শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬, ০২:৪৩:৪৭

পাত্রী চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন, অবশেষে যা ঘটলো

পাত্রী চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন, অবশেষে যা ঘটলো

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: মধ্যবয়সে বিয়ে করতে গিয়ে, শেষে কিনা ঠগদের চক্করে পড়লেন এক ব্যক্তি! মহিলা-মাখামাখি ঘনিষ্ঠ ছবি জনসমক্ষে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, ফোনে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল রাজকোটের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে। তাঁর কাছে দাবি করা হয় ৫ লক্ষ টাকা। পাত্রী দেখানোর নাম করে ডেকে নিয়ে গেয়ে, জোর করেই ওই সাজানো ছবিগুলি তুলে রেখেছিল চক্রটি। প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে এই ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন মহিলা সহ মোট ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম মঞ্জুলা ওরফে মোনা ভাগেলা (৩৭), ডাইসি মাকওয়ান (৪৫), শীলা ক্রিস্টিনা (৫৪) ও মাইকেল যোশেফ (২৫)। এর মধ্যে শীলা ও মাইকেলের বাড়ি আহমেদাবাদের মণিনগরে, বাকি অভিযুক্তদের বাড়ি খোখরায়।

পুলিশ জানায়, রাজকোটের নানা মাভার বাসিন্দা পুরুষোত্তম মারভিয়ার স্ত্রী মারা গিয়েছেন সাড়ে তিন বছর আগে। তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে বছর পঞ্চাশের পুরুষোত্তমের। সম্প্রতি তাঁর পরিবার ঠিক করে, ফের পুরুষোত্তমের বিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো পাত্রী চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল।
সেই সূত্রেই শীলার ফোন আসে। নিজেকে ম্যাচমেকার পরিচয় দিয়ে, পাত্রী দেখতে পুরুষোত্তমকে আহমেদাবাদে আসতে বলে শীলা। বিয়ের জন্য তাঁকে তিন পাত্রী দেখানো হয়। পুরুষোত্তমের পছন্দ না-হওয়ায়, রাজকোটে ফিরে আসেন। আরও কিছু পাত্রী দেখানো হবে বলে এরপর আবারও তাঁকে আহমেদাবাদে ডাকা হয়। কিন্তু, এবারও 'না' করে দিয়ে চলে আসেন।


এর ঠিক দু-দিন পরে মঞ্জুলা নামে বছ ৩৭-এর এক মহিলার ফোন পান পুরুষোত্তম। জানান, বাড়ির অমতেই তিনি পুরুষোত্তমকে বিয়ে করতে রাজি আছেন। পুরুষোত্তম কোনও জবাব না দিয়ে, ফোন কেটে দেন। এর দু-দিনের মাথায় আবারও ফোন। সেই মহিলা বলেন, তিনি পুরুষোত্তমের প্রেমে পড়েছেন। পুরুষোত্তম তাঁর সঙ্গে দেখা না করলে, সুইসাইড নোটে তাঁকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিতে থাকেন। পুরুষোত্তমের কথায়, এরপর মঞ্জুলা নামে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে বাধ্য হয়। আহমেদাবাদ থেকে এরপর সোজা মাউন্ট আবু। সেখানে একটি হোটেল রুম আগেই বুক করে রাখে মঞ্জুলা। তাদের সফরসঙ্গী হয় আর এক মহিলাও। হোটেল রুমে জল খেয়েই অচৈতন্য হয়ে পড়েন পুরুষোত্তম। জ্ঞান ফিরলে দেখেন, সঙ্গে থাকা ১২ হাজার টাকা নেই। গলা ও হাত থেকে সোনার হার ও আংটিও লোপাট।

এর পরে আহমেদাবাদে ফিরে মঞ্জুলাকে বারকয়েক ফোন করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু মঞ্জুলা ফোন ধরেনি। পুলিশ জানায়, এই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যে এক ব্যক্তি পুরুষোত্তমকে ফোন করে জানায়, তার কাছে পুরুষোত্তমের কিছু আপত্তিজনক ছবি রয়েছে। সেই অন্তরঙ্গ ছবিগুলি আবুতে তোলা। ২৫ লক্ষ টাকা না দিলে, সেই ছবিগুলো অনলাইনে ফাঁস করার হুমকিও দেয় ওই ব্যক্তি। পুরুষোত্তম নিজের ভুল বুঝে, ৫ লক্ষ টাকায় রফা করে। এর মধ্যে চক্রটিকে ধরতে ফাঁদ পেতেই রেখেছিল পুলিশ। রাজকোটে ৫ লক্ষ টাকা নিতে এসে, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় প্রতারণা চক্রের লাস্যময়ীরা। তাদের গ্রেপ্তার করে খোওয়া যাওয়া টাকা ও গয়না পুলিশ উদ্ধার করেছে।-এই সময়

১১ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে