যুবরাজের শিকারে ২০০০ পাখি
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সৌদি যুবরাজ ফাহাদ বিন সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ পাকিস্তান সফরে গিয়ে বিপন্ন প্রজাতির প্রায় দুই হাজার হাউবারা বাস্টার্ড পাখি নিধন করেছেন।
শিকারি দলে থাকা তার সঙ্গীরা মেরেছেন ১২৩টি পাখি। তবে তার সঙ্গীরা ছিলেন স্থানীয়।
এ পাখি এখন বিপন্ন প্রজাতির। আর এ পাখি শিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনেও রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
এক খবরে জানা যায়, এ পাখির মাংস খুব দামি এবং উত্তেজক।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস এক হিসাবে দেখিয়েছে, বিশ্বে এ পাখির সংখ্যা প্রায় এক লাখ ১০ হাজার। তবে প্রতিবছরই অবৈধ শিকারের কারণে এ সংখ্যা ২০ থেকে ২৯ শতাংশ কমছে।
প্রতিবছর এ পাখিগুলো মধ্যএশিয়া থেকে পাকিস্তানের মরু অঞ্চলে অতিথি হয়ে আসে। পাখি শিকারের জন্য ওই অঞ্চলে বিত্তশালী ও আরবের রাজপরিবারের সদস্যরা প্রায়ই বেড়াতে যান।
এ সফর নিয়ে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ দিনের সফরে বেলুচিস্তানের চাগাই বনাঞ্চলে এ শিকার অভিযান চালান এ যুবরাজ ও তাবুকের গভর্নর।
বেলুচিস্তান বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগের বন কর্মকর্তা জাফর বালুচের তৈরি করা ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘ভিজিট অব প্রিন্স ফাহাদ বিন সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ রিগার্ডিং হান্টিং অব হাউবারা বাস্টার্ড’।
অন্য এক খবরে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পাকিস্তানে এ পাখি শিকার নিষিদ্ধ। এরপরও কেন্দ্রীয় সরকার উপসাগরীয় দেশের রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ অনুমতি ইস্যু করে পাখিগুলোকে মারার সুযোগ করে দেয়।
অনুমতিপত্রে কারা শিকার করতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় এবং একজনের অনুমতিপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। একসঙ্গে সংরক্ষিত এলাকার বাইরেসহ অনুমোদিত এলাকায় ১০ দিনের ১০০টি হাউবারা বাস্টার্ড পাখি নিধনের সুযোগ দেয়া হয়।
জানা যায়, ২১ দিনের মধ্যে ১৫ দিনই সৌদি যুবরাজ সংরক্ষিত এলাকায় ও ছয়দিন অন্য এলাকায় শিকার করেছেন।
পাকিস্তানের বন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা তাসনিম আসলাম গত ফেব্র“য়ারিতে এক প্রতিবেদনে বলেন, ‘শিকারের জন্য আরবের বিশিষ্টজনদের এখানে আসার প্রচলন দশকের পর দশক ধরে চলছে। ১০ বছর আগেও এ নিয়ে তেমন জনসচেতনতা দেখা যায়নি; কিন্তু এখন এ নিয়ে জনগণের মধ্যে আমরা উদ্বেগ দেখতে পাচ্ছি।
২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস