মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬, ০২:২১:০৫

শাশুড়ির মন জয় করবেন কিভাবে, জেনে নিন ১০টি কার্যকরী কৌশল

শাশুড়ির মন জয় করবেন কিভাবে, জেনে নিন  ১০টি কার্যকরী কৌশল

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি যেতে সব মেয়েদেরই ভয় হয়। মূল ভয়টা কিন্তু শাশুড়ির। কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে শাশুড়ির মন জয় করাটা কোনও কঠিন কাজ নয়। কেউ কেউ মরে করেন শাশুড়ির সাথে কিভাবে কথা বলবো। শাশুড়ি আবার রাগান্বিত হয়ে বকাজকা করবেন নাতো। এই নিয়ে নতুন বধুর দুশ্চিনা শেষ থাকে না। কিন্তু ১০ টি কার্যকরী কৌশল অবল্বন করলেই আপনি শাশুড়ির মন জয় করতে পারবেন।


১) শাশুড়িকে শুধু ‘মা’না বলে ‘মামণি’ বা ‘মামমাম’ বলুন। বউয়ের মুখে এমন আদুরে ডাক শুনলে অনেকটা মানসিক দূরত্ব কমে যায়। তবে শাশুড়ির যদি এই ডাকে আপত্তি থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গেই অভ্যাস পালটে নিন। তাঁর ইচ্ছেমতো ডাকেই তাঁকে ডাকুন। 

২) কখনও শ্বশুর বা স্বামীর সঙ্গে শাশুড়িকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় অংশ নেবেন না। বরং এসব ক্ষেত্রে শাশুড়ির পক্ষ নিন। 

৩) বিয়ের পর প্রথম প্রথম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। এক দু’বছর পরে সম্পর্ক সহজ হয়ে গেলে দেরি করে উঠলে অতটা ক্ষতি নেই কিন্তু প্রথমদিকে বউ দেরি করে উঠলে শাশুড়িদের মধ্যে নানা ধরনের জটিল ভাবনা খেলা করে। সেই থেকেই বউয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।

৪) শাশুড়ির শরীর-স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন। ডাক্তারের অ্যাপয়ন্টমেন্ট থাকলে সঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করুন। 

৫) শাশুড়িকে ভাল বই বা ম্যাগাজিন উপহার দিন। যদি বই পড়তে না ভালবাসেন তবে মাঝেমধ্যে শপিংয়ে নিয়ে যান বা সিনেমা দেখতে নিয়ে যান।

৬) কথায় কথায় নিজের বাপের বাড়ির গল্প জুড়বেন না। এতে শাশুড়িরা বিরক্ত হন। বরং শাশুড়ির থেকে শ্বশুরবাড়ির কথা বা তাঁর বাপের বাড়ির কথা জানতে চান। এতে তাঁরা খুশি হন। 

৭) শাশুড়ির বিশেষ কোনও হবি থাকলে তাতে অংশগ্রহণ করুন। সেই সম্পর্কে আরও বিশদে জানুন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উপহার দিন। 

৮) মাঝেমধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করুন এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য আত্মীয়দের ট্যাগ করুন। এতে সম্পর্ক আরও সহজ হবে। 

৯) একা বা স্বামীর সঙ্গে কোথাও বেরনোর থাকলে আগে থেকে শাশুড়িকে জানিয়ে রাখুন। বাড়িতেও যেমন কোথাও বেরতে হলে বাবা-মাকে বলে যেতে হয়, এক্ষেত্রেও তাই। 

১০) শাশুড়ির সেবা করার অর্থ দাসী হয়ে যাওয়া নয়। মনে রাখবেন সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে গেলে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে হয়। কখনও ঝগড়া করবেন না। চুপ করে থেকেও প্রতিবাদ জানানো যায় এবং তাতে প্রতিপক্ষ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। 

১১) স্বামীর উপর আপনার অধিকার বেডরুমের বাইরে খুব একটা প্রকাশ করবেন না। এই বিষয়টা নিয়েই শাশুড়ি-বউয়ের সম্পর্ক খারাপ হয়। ছেলেকে খেতে দেওয়া, ছেলের জামাকাপড় গুছিয়ে রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলি শাশুড়িরা ছেলের বিয়ে দেওয়ার পরেও করতে থাকেন। এই সবে বেশি মাথা ঘামাবেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব দায়িত্বই আপনার উপরে আসবে। আগ বাড়িয়ে করতে গেলে বরং সমস্যা হতে পারে।  

১৪ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে