বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৩৭:১৭

পহেলা বৈশাখের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখের ইতিকথা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দেখেছকি তুমি সবুজের বুকে একটি লাল গোলাপ,
শুনেছকি কভু মায়ের কোলে, ছোট্ট শিশুর মিষ্টি প্রলাপ।
দেখেছকি ঘুরে ঘর থেকে দূরে, পেয়েছকি এমনটা।
ছয়টি  ঋতুর বারটি  মাসে  বৈশাখ  আসে যেমনটা।।

বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি মূলত নবান্ন উৎসব থেকে। আগের দিনের রাজা-বাদশাহ, জমিদারগণ খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ও কৃষিকাজের সুবিধার জন্য বাংলা সনের প্রবর্তন করে। ব্যবসায়িরা সারা বছরের বাকি বা পাওনা আদায়ের জন্য বাংলা সনের পহেলা বৈশাখে হাল-খাতা প্রচলন করে।

কৃষানিরা নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দে পিঠা পায়েস তৈরির আয়োজন করে এবং আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের দাওয়াত করে থাকে। নতুন ফসল ঘরে তোলার কারনে কৃষকের ঘরে থাকে অর্থের প্রাচুর্য। ফলে নবান্নকে ঘিরে মেলার আয়োজন গড়ে উঠে। গ্রামের বালক বালিকারা বাবা মায়ের সাথে মেলায় নিজেদের পছন্দের খেলনা কিনে নিয়ে আসত।

কিশোরিরা কিনতো চুড়ি, আয়না, নতুন শাড়ি, ও সাজ গোজের উপকরণ। নতুন বউ নবান্ন উপলক্ষে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যেতো, পালকিতে চড়ে মেলায় নানা রকম বিনোদনের ব্যবস্থা থাকত। যেমন- নাগর দোলা, পুতুল নাচ, যাত্রা, পালাগান, সার্কাস ইত্যাদি। মেলায় সারা গায়ের লোক অংশ গ্রহণ করত।

পহেলা বৈশাখের এ সমস্ত আয়োজন সাধারণত বট বৃক্ষের নিচে অথবা নদীর কিনারে গড়ে উঠত, ফলে নৌকায় হাটা পথে মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হত। হিন্দু রমনীরা বৈশাখী মেলা উপলক্ষে পুজার আয়োজন করত। কালক্রমে এই বৈশাখী মেলা সবস্তরে জনগনের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। বৈশাখী মেলায় আমাদের দেহপ্রাণের সাথে মিশে আছে। পহেলা বৈশাখ আমাদের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্য।
২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে