কাকের বুদ্ধিমত্তা
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কাককে পাত্তা দেয় এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দায়। কেউ কাক দেখলে ঢিল ছুঁড়ে তাড়িয়ে দেয়। তবে কাক যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারে তা খুঁজে পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেনের মনোবিদরা।
বিশেষ একটি প্রজাতির কাকদের নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে হাতেনাতে তাদের বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ পেয়েছেন। এই কাকেরাও পাথর ফেলে জলের নাগাল পেয়েছে।
কিন্তু দেরিতে হলেও এবার বৈজ্ঞানিকরা কাকের কৃতিত্ব প্রমাণ করে ছাড়লেন। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিকরা ঈশপের গল্পের ভিত্তিতে একটি পরীক্ষা চালিয়ে কাকদের বুদ্ধিমত্তা জানতে পেরেছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদরা।
‘নিউ ক্যালিডোনিয়ান ‘ক্রো’ প্রজাতির ছয়টি কাককে তারা পরীক্ষার জন্য বেছে নেন। তবে প্রথমেই সামান্য জলভরা কলসির সামনে তাদের হাজির করা হয়নি। তার আগে তাদের ঠোঁটে করে পাথর তুলে একটি টিউবে ফেলার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণের পর তাদের সামনে কয়েকটি টিউব রাখা হয়।
তার কয়েকটির মধ্যে জল, বাকিগুলোর মধ্যে বালু ছিল। কাকরা বেছে বেছেই জলভরা টিউবেই পাথর ফেললো। ফেলার আগে ভেবে-চিন্তে কাকগুলো সঠিক বস্তু বেছে নিয়েছে। যেমন যেসব ডুবে যায় সেটাই তারা কাজে লাগাচ্ছে। যে বস্তু জলে ভাসে তা উপেক্ষা করছে। তারা শক্ত বস্তুই তারা তুলে নিচ্ছে। যে টিউবে জলের স্তর কম তা এড়িয়ে গিয়ে উঁচু স্তরের জলের প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি।
কাকদের এই বিস্ময়কর ক্ষমতা দেখে সত্যি অবাক হলেন বৈজ্ঞানিকরা। তাদের বুদ্ধিমত্তার সীমাও রয়েছে। তবে বিশেষ করে দুটি পরীক্ষায় তারা পাস করতে পারেনি। একই জলের স্তরের দুটি টিউবের মধ্যে একটি ছিল সরু, আরেকটি মোটা। অন্য একটি জটিল পরীক্ষায় তিনটি টিউবে একই পরিমাণ জল ছিল। মাঝেরটি এতো সরু ছিল যে, তাতে পাথর ফেলা সম্ভব নয়।
শহরের কোলাহল থেকে কাক-শালিক যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে কাকদের যে কেরামতি আছে তা বাস্তবে দেখেছেন বৈজ্ঞানিকরা।
২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস