এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : গঙ্গারামের পরীক্ষায় বসার কথা শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেই গঙ্গারামকেও ঊনিশটি বারের পর হাল ছাড়তে হয়। ম্যাট্রিক পাস করা আর হয়ে ওঠেনি।
আর শিবচরণ যাদব এ নিয়ে ৪৭ বার ক্লাস টেনের পরীক্ষা দিয়ে ফেললেন। পরীক্ষায় বসতে বসতে বয়সও হয়ে গেল ৮২ বছর। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি।
পাস তো তাকে করতেই হবে, না হলে যে বিয়ে করবেন না তিনি। সেই যে ধনুকভাঙা পণ করে বসেছিলেন, ক্লাস টেন পাস করে তবেই বিয়ে করবেন, এখনো তা থেকে বিচ্যুত হননি। তাই বিরাশিতে পৌঁছেও 'চিরকুমার' শিবচরণ বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি।
আগের ৪৬ বারের মতো এবারও রাজস্থান বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এগজামিনেশন থেকে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিব চরণ। গত রোববারই সেই ফল বেরিয়েছে। শিবচরণ যথারীতি এবারও ফেল!
জয়পুর থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ উজিয়ে বেহরের কোহারি গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এই অশীতিপর পড়ুয়ার। থাকেন একটি মন্দিরে। রাজ্য় সরকারের দেয়া বয়স্কভাতাতেই কোনোমতে বেঁচে রয়েছেন তিনি।
বৃদ্ধ শিবচরণ দৃঢ়তার সঙ্গেই বললেন, যতদিন বাঁচব, পরীক্ষা দিয়েই যাব। তার কথায়, এটা শুধু পাসফেলের বিষয় নয়, এর সঙ্গে আমার বিয়ের প্রশ্নটিও জড়িত।
তাই পাস করেই বিয়ে করার সুযোগও অর্জন করতে চান তিনি। জানালেন, প্রথমবার পরীক্ষায় বসেছিলেন ১৯৬৯-এ। ১৯৯৫-এ অঙ্ক ছাড়া তিনি সবেতেই পাস করেন।
কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, সাফল্যের দরজা খোলা তার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এবার একটি বিষয়েও পাস করে উঠতে পারেননি। বয়সও থাবা বসাচ্ছে শরীরে। চোখেও দেখছেন কম। কানে কম শুনছেন। তবুও পরীক্ষা হলে বসতে অবিচল তিনি।
২০ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম