এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এদের মত আর ক’জন আছে, যারা বিশ্বকে চমকে দিতে পারে? ভাগ্য যদি বদলে তবে নিয়ে যায় বহুদূর। সত্যিই এরা বিস্ময় বালক! এই দুই ছোট্ট ছেলের আয় বার্ষিক ১৪০ কোটি টাকা!
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা শ্রাবণ কুমারন আর সঞ্জয় কুমারনের আয়ের কথা শুনলে পেলেতে কাঁপ ধরে যায়।
শ্রাবণের বয়স ১২ আর সঞ্জয়ের ১০। এদের প্রতিভা এতোটাই নজর কেড়েছে যে, বিশ্বজুড়ে আজ তারা সমাদৃত। গেটস ফাউন্ডেশন পর্যন্ত এ দুই ভাইকে তাদের সেমিনারে ইন্টারভিউ করেছে। এই দুই খুদে প্রতিভাকে সম্মান জানিয়েছে খোদ অ্যাপেলও।
এ বয়সেই এই দুই খুদে ভারতের একটি সফ্টওয়্যার ফার্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও। ভারতের এ দুই ভাইকে আগামীদিনে প্রতিভাবান উদ্যোগী হিসেবেও গণ্য করা হচ্ছে।
তবে এটা ভাববেন না যে, এরা বাবা কিংবা মায়ের কোম্পানির দায়িত্ব পেয়েছে। নিজের হাতেই প্রতিষ্ঠান গড়ে এ অবস্থানে তারা!
চার বছর আগে এই দুই জিনিয়াস ‘গো ডাইমেনশন’ নামের একটি সফ্টওয়্যার ফার্ম নির্মাণ করে, যার প্রধান কাজ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা। শ্রাবণের বয়স তখন ৮ আর সঞ্জয়ের ৬ বছর।
চার বছরে তাদের কম্পানি ১১টি অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করেছে। ডাউনলোড হয়েছে ৭০ হাজার। দু’জনেরই আদর্শ স্টিভ জবস। দুই ভাইকে ‘ইয়াংগেস্ট মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামার’ বলে সম্মানিতও করেছে অ্যাপল।
‘ক্যাচ মি কপ’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে দুই ভাই আইটি ফার্মগুলোর নজর কেড়েছে। এর আগে অবশ্য খেলার ছলে দেড়শ’টি অ্যাপ বানিয়ে হাত পাকিয়ে ফেলে শ্রাবণ ও সঞ্জয়।
তাদের তৈরি অ্যাপ ‘অ্যালফাবেট বোর্ড’-এ ‘অ্যাপ স্টোরে’ তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাদের লক্ষ্য, দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর কাছে তাদের তৈরি অ্যাপ পৌঁছে দেয়া।
তবে জানেন কি এই দুই ভাইয়ের প্রতিবছর আয় কত? শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে। প্রতিবছর তাদের আয় ১২০ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪০ কোটি টাকা। প্রতিমাসে একেকজনের আয় প্রায় ৬ কোটি টাকা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তারা বলেছে, অ্যাপেল নির্মাতা স্টিভ জোব্সই তাদের অনুপ্রেরণা। এরই মধ্যে অ্যাপেল কর্তৃপক্ষের সুনজরে আছে তারা। আগামীদিনে যে তারা সাফল্যের শিখরে পৌঁছবে এমন আশারবাণী অ্যাপেলের।
২১ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম