বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬, ০৫:৩৮:৪৬

জীবন থেকে পালিয়ে যেতে চাইছেন সব ছেড়ে?

জীবন থেকে পালিয়ে যেতে চাইছেন সব ছেড়ে?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক:জীবনের কোন না কোন একটা সময়এই প্রশ্নটার সম্মূখীন হয়েছেন কিংবা হবেন। এমন কি আমার ও আপনার কাছে একই প্রশ্ন আপনার কাছে কি মনে হয়- জীবন মানে কি?
জীবন সম্পর্কে একেক জনের চিন্তা-ভাবনা, অভিব্যক্তি একেক রকম।
আমার জন্যও ব্যতিক্রম কিছুনা।
আমার কাছে জীবনের মানেটা কিছুটা এইরকম-

""জীবন মানে যুদ্ধ,
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নতুন নতুন পরিবর্তন অপেক্ষা করে আমাদের জন্য। যেগুলো নিমিষে এলোমেলো করে দেয় অনেক আগে থেকে ভেবে রাখা সব কথা আর পরিকল্পনাগুলো। কিন্তু এর সবটাই কী হঠাৎ করেই হয়?
না! আমরাও জীবনে পরিবর্তন চাই। আর চাই বলেই নিজেদের জীবনকে পরিবর্তিত করতে নিই নানারকম পদক্ষেপ। কোনো সমস্যায় পড়েছেন, কষ্টে আছেন, কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে আটকে গেছেন? জীবনকে একেবারেই নতুন করে শুরু করতে চান? বদলে দিতে চান একেবারেই। তাহলে চেষ্টা করুন

প্রথমেই মনে রাখুন, জীবনে ঘষে ঘষে ছালচামড়া উঠে গিয়েছে গোত্রের প্রাণী এই পৃথিবীতে আপনি একা নন। শূন্য ঢিল ছুড়লে যাঁর গায়ে গিয়ে পড়বে, তাঁরও সেই দশা। আপনার আশপাশে যাঁদের হাসিমুখে ঘুরতে দেখছেন, তাঁরা সকলে একই কথা বলবেন। মুকেশ অম্বানী থেকে নরেন্দ্র মোদী হয়ে আপনার পাড়ার সত্যগোপাল বটব্যাল, সকলেই জীবনের সঙ্গে একটা অসীম সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে, নিজেকে ব্যতিক্রমী মনে করার কারণ নেই। পার্থক্যটা শুধু একটি জায়গায়। চাপ আপনাকে পেড়ে ফেলেছে, বাকিদের পারেনি।

প্রথমেই যে কাজটি করবেন, সেটি হল ‘ব্রেক’ নিন। একে বলে ‘ডিটক্স’ করা। নিজেকে সব কিছু থেকে বের করে আনুন। সাময়িকভাবে চলে যান অন্য জগতে। মনে রাখবেন, এটা একটা গোলকধাঁধা। আপনাকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করতেই হবে। নইলে চিরকাল এই ধাঁধা আপনাকে ঘুরিয়ে মারবে এদিক-ওদিক। মনে করার কারণ নেই দম বন্ধ হয়ে আসছে। মনে করার কারণ নেই, চারপাশ থেকে সব কিছু আপনাকে গিলে খেতে আসছে। প্রথমেই ভাবতে চেষ্টা করুন, ‘‘অল ইজ ওয়েল’’। এই বারে নীচের চারটি রাস্তার যে কোনও একটি বেছে নিন।

১. চাকরি নিয়ে বীতশ্রদ্ধ? প্রথম কাজটিই হল চাকরি ছেড়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করা। যে মুহূর্তে বুঝবেন, এই অফিসে মানসিক এবং শারীরিক চাপ অকারণে বাড়ছে, তা হলে এই চাকরি অবশ্যই ছাড়তে হবে। আপনি কোন পেশায় রয়েছেন, তার উপরে নির্ভর করবে আপনি পরবর্তী চাকরিটা কীভাবে খুঁজবেন। তবে চেষ্টা শুরু করে দিন। এতে পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ততা বাড়বে। ফলে, বর্তমানের হতাশা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

২. প্রেমে ধাক্কা? পৃথিবীতে নিজেকে একা মনে হচ্ছে? মনে রাখুন, একদিক থেকে দেখলে এই পৃথিবীতে সকলেই একা। কী করবেন? স্রেফ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার সময়টা বাড়িয়ে দিন। প্রকৃত বান্ধবী কেমন হওয়া উচিত, সেই তত্ত্বে সময় ব্যয় না করে ক্লাবে গিয়ে তেড়ে তাস পেটান, নয়তো ক্যারম খেলুন। পারলে পরিবারের সকলকে নিয়ে বেড়াতে যান।

৩. বেড়াতে ভালবাসেন? স্রেফ রুকস্যাক গুছিয়ে যে কোনও একটি জায়গার টিকিট কেটে ফেলুন। সেখানে গিয়ে যেমন খুশি ঘুরুন, যে দিকে খুশি যান। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন। রিটার্ন টিকিট কেটে যাবেন। কেননা, মন একদিন ভাল হবেই। তখন রোজকার ব্যস্ততায় ফিরতে ইচ্ছে করবে।

৪. অফিস থেকে বাড়ি ফিরতেই একাকীত্ব গ্রাস করে? সিনেমা দেখতে পারেন, গান শুনতে পারেন। তবে সবথেকে ভাল, একটা শখের পিছনে ব্যস্ত থাকা। যা করতে ভাল লাগে, তা-ই করুন। সেটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস গোনা হতে পারে। কিন্তু সেটাই করুন। একটা শখ বা ‘হবি’ থাকলে, আপনাকে আর ঠেকায় কে!
২২জুন২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এআর

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে