শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬, ০৪:১২:৫৬

মেয়ের মৃত্যু চেয়ে আদালতে মা-বাবার আবেদন!

 মেয়ের মৃত্যু চেয়ে আদালতে মা-বাবার আবেদন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সন্তানের মৃত্যু চেয়ে আদালতে মা-বাবার আবেদন যাদের কথা জানলে আপনারও মন কাঁদবে।  ফুটফুটে কন্যা-সন্তানের মৃত্যু চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তারা।  অবশ্য শেষ চেষ্টা করে কুলিয়ে উঠতে না পেরেই এমন পদক্ষেপ নেন তারা।

৮ মাসের শিশু-সন্তানটির চিকিৎসার জন্য যা সম্ভব ছিল সবই করেছেন বাবা-মা।  দুরারোগ্য লিভারের রোগে আক্রান্ত এ সন্তানটির চিকিৎসায় ঘর-বাড়ি, জমি-জায়গা যা ছিল সবই বিক্রি করে দিয়েছেন।

সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনরাও। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে দুধের শিশুটির যন্ত্রণা ততই বাড়ছে।

চোখের সামনে এ শিশুসন্তানের কষ্ট আর দেখতে পারছিলেন না বাবা-মা।  নিরুপায় হয়ে তাই শিশুর মৃত্যু চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তারা।  

ভারতের হায়দরাবাদের চিত্তুরের বাসিন্দা মা-বাবা গত বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে এ আবেদন করেন।

ওই মেয়ে গেনা সাইয়ের বাবা রামানাপ্পা একটি মুদিখানার দোকানের কর্মচারী।  জন্ম থেকেই গেনা দুরারোগ্য লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত।  

অনেক চিকিৎসা করিয়েও কোনো ফলই হয়নি। শেষে বেঙ্গালুরুর একটি নার্সিংহোমে গেনার চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান তারা।  

সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ওষুধে কোনো কাজ হবে না।  লিভার প্রতিস্থাপন করাতে হবে।  সব মিলিয়ে যার খরচ হবে ৫০ লাখ টাকারও বেশি।

চিকিৎসকেরা এও জানান, অস্ত্রোপচারের পরও আগামী ৬ বছর ধরে গেনার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।  এ কথা শোনার পর আর কিছু ভাবার সুযোগ ছিল না শিশুটির মা-বাবার।

মেয়েকে বাঁচাতে নিজেদের শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন।  আত্মীয়দের কাছে ধার চেয়ে কয়েকদিন চিকিৎসা চালানো হয়েছিল।  

কিন্তু ধার করে আর কত দিন! আত্মীয়রাও মুখ ফিরিয়ে নেন।  এরপর যত দিন যাচ্ছিল, শিশুটির শারীরিক কষ্ট আরো বাড়ছিল।  

চোখের সামনে মেয়ের এ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু চেয়ে চিত্তুর জেলা কোর্টে আবেদন করেন তারা।

তাদের আবেদন এ রকম, হয় সরকার গেনার চিকিৎসার খরচ বহন করুক, না হলে তার মৃত্যুর অনুমতি দেয়া হোক।  চিত্তুর জেলা কোর্টের বিচারক মামলাটি হায়দরাবাদ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন।
২৪ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে