শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬, ১২:০৭:১৫

যে নদীতে নামলে নিশ্চিত মৃত্যু!

যে নদীতে নামলে নিশ্চিত মৃত্যু!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ‘কলকল ছলছল নদী করে টলমল ঢেউ ভাঙে ঝড় তুফানেতে নাও বাইয়োনা মাঝি বিশম দৈরাতে’ অথবা ‘নদীর কূল নাই কিনার নাই’ কিংবা ‘ও নদীরে, একটি কথাই শুধাই শুধু তোমারে’।

নদী নিয়ে এমন কতশত গান আছে। আছে অজস্র কবিতা। আর থাকবেই না কেন? এই নদী যে প্রকৃতির অপার এক সৌন্দর্য্য। মানব সভ্যতাই এই নদী সুখ-দুঃখ কত স্মৃতির পরশ মাখা। আবার এই নদীর ধারে গেলে অশান্ত মনও শান্ত হয়ে যায়।

এই নদীকে কেন্দ্র উপজিব্য করে পৃথিবীতে বহু মানুষের জীবন জীবিকা চলছে। ভালো লাগার, ভালোবাসার নদী। এই নদীকে ভয় পাওয়ারও কোন কারণ নেই। তবে পৃথিবীতে এমন এক নদী আছে, যাকে আপনার ভয় পেতেই হবে। আর সেটি বেশি দূর নয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতেই সেই নদীটি অবস্থিত।

ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত একটি নদী রয়েছে, যা মানুষের ভয়ের অন্যতম কারণ। স্থানীয়রা বলেন, এর কাছে গেলে আর রক্ষা নেই। ছলনাময়ী জল তাকে টেনে নেবে নিজ বক্ষে। এজন্যই রোহিনী নদীর আর এক নাম খুনে নদী।

যদিও এ নদীতে জল খুবই সামান্য। তাইতো এখানে কারো ডুবে যাওয়ার ভয় নেই। তারপরও এই শুকিয়ে যাওয়া নদীটিকে কেন এত ভয়! এটাই তো রহস্য! নয়াদিল্লির রোহিণী এলাকার খুনি নদীও যেন অপরিসীম রহস্যের উৎস। লোকে বলে, এ নদীতে একবার নামলে কেউ আর জীবন্ত ফেরে না! এই রহস্য উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কেউ উদ্যোগী হওয়ারও খবর মেলেনি।

আসলে এর কারণ লুকিয়ে রয়েছে অতীত ইতিহাসে। এক সময় অত্যাচারী শাসকরা এই নদীকে ব্যবহার করত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করার স্থান হিসেবে। অপরাধীদের এখানে জীবন্ত ডুবিয়ে মারা হত। কখনও বা, মাথা কেটে লাশ ফেলে দেওয়া হত নদীর জলে।

এরপর সময়ের এর স্রোতের ধারায় কত জল বয়ে গিয়েছে। কালের গ্রাসে বুড়ি হয়েছে রোহিণী নদী। ধীরে ধীরে কমে এসেছে জলের পরিমাণ। এতটাই কমে এসেছে যে বড় জোর হাঁটু ডুববে! তারপরও নদীর জলে কেউ পা দিতে সাহস পায় না! এখানে পা দিলেই যে টেনে নেবে মৃত্যুদূত। যদিও নদীতে চোরাবালি নেই, জলও গভীর নয়। তারপরও নাকি এখানে জলে ডুবে মানুষ মারা যায়।
২৫ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে