এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: জাপানে অবস্থিত 'আইস গ্র্যান্ড শ্রিন' নামক এই স্থানটি পৃথিবীর কাছে এক অপার রহস্য ও বিস্ময়ের নাম।
এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম গোপন স্থানগুলোর একটি। তবে আইস গ্র্যান্ড শ্রিন শুধু জাপানের সবচেয়ে গোপনীয় স্থানই নয়, এটি সেখানকার সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান হিসেবেও পরিচিত।
আইস গ্র্যান্ড আসলে জাপানের ১০০টিরও বেশি মঠের সমষ্টি যা কিনা খ্রিস্টপূর্ব ৪ অব্দে নির্মাণ করা হয়েছিল।
এই স্থানটির ভেতরে সাধারণ কোনো মানুষের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেননা জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো এবং মূল্যবান নিদর্শন এখানে সংরক্ষিত রয়েছে বলে ধারণা করেন ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা।
এছাড়াও এখানে রয়েছে অনেক জরুরি নথিপত্রও যা কখনোই বিশ্বেবাসীর সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। গবেষকরা মনে করেন, আইস গ্র্যান্ড শ্রিন বিশ্ববাসীর সামনে উন্মুক্ত হলে বিশ্বসভ্যতা ও ইতিহাসের অনেক দিকই ভিন্নমাত্রা পেতো।
কিন্তু সেটি একেবারেই অসম্ভব। কেননা সাধারণ কেউই এ পবিত্র জায়গাটিতে প্রবেশ করতে পারেন না। শুধু পূজারি অথবা জাপানের রাজ-পরিবারের লোকজন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এখানে প্রবেশ করতে পারেন।
এতোকাল ধরে জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া আজ পর্যন্ত কেউ এখানে ঢুকতে পারেনি। এই শ্রিনটি প্রতি ২০ বছর পরপর ভেঙে আবার নতুন করে তৈরি করা হয়। আর এ ক্ষেত্রেও অবলম্বন করা হয় কঠোর নিরাপত্তা আর তীব্র গোপনীয়তা।
কোনো একসময় কি 'আইস গ্র্যান্ড শ্রিন' বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হবে, নাকি এটি চিরকালই পৃথিবীর বুকে রহস্যের গ্লানি বয়ে নিয়ে যাবে তা সকলেরই অজানা।