এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: পাশাপাশি হাত ধরেই যেন চলে এলো ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের হাওয়া। এ দুইয়ের মাঝে কোথায় যেন একটা মিল রয়েছে, তা অনুভব করে দেখেছেন কি? আর এ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের সমন্বয়ে আজ গোলাপ নিয়ে কিছু কথোপকথন।
একটি গোলাপ! হয়তো অনেক ক্ষুদ্র, কিন্তু বৃহৎ তার অবদান। গোলাপের আছে একটি দীর্ঘ এবং রঙিন ইতিহাস। বহুবছর আগে থেকেই গোলাপ সৌন্দর্য্য ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে সকলের কাছেই পরিচিত। পৃথিবীর বুকে গোলাপের জন্ম আজ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে। জন্মের পর এটি ধীরে ধীরে বিস্তৃতি পেতে থাকে দুনিয়া জুড়ে।
গোলাপের সর্বত্র বিস্তৃতির জন্য ইংরেজ মহারাজারা মেক্সিকো এবং দক্ষিন আফ্রিকা থেকে প্রায় ৫০ প্রজাতির গোলাপ তাদের দেশে নিয়ে আসে। যদিও রোমান সময়কালে গোলাপের বিস্তৃতি লাভ শুরু করে। কেননা তারা গোলাপকে ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করতো। এমনকি মিষ্টি খাবার তৈরি এবং সুগন্ধি তৈরিতে তারাই সর্বপ্রথম এর ব্যবহার শুরু করেছিল। পরবর্তীতে আভিজাত রোমান সম্প্রদায়েরা দক্ষিণ রোমে বৃহৎ পরিসরে গোলাপ চাষ শুরু করে।
আর সপ্তদশ শতাব্দিতে ইউরোপে গোলাপের চাহিদা ছিল অনেক। কিন্তু চাহিদা থাকলে কিইবা হবে? কেননা ইউরোপিয়ান বাগানগুলোতে বছরে মাত্র একবার বসন্তকালে গোলাপ ফুটতে দেখা যায়। প্রথমে তা সাদা এবং পরে সেটা গোলাপি রঙ ধারণ করে। কোনো একসময় ইউরোপে গোলাপ কিংবা গোলাপের জল বিনিময় প্রথা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তখন গোলাপ একটি আইন স্বীকৃত বিনিময়যোগ্য অর্থ ছিল।
পরিশেষে লাল গোলাপের উৎপত্তি নিয়ে আরব দেশীয় একটি গল্প-কাহিনী দিয়েই শেষ করা যাক-
একদিন এক ছোট্ট বুলবুলি পাখি বনের ভিতর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো। এমন সময় গাছে সে একটা সাদা গোলাপ দেখতে পেল।
তার খুব ভালো লাগলো। একদিন বুলবুলিটি গোলাপটিকে বলে উঠলো, 'আমি তোমায় ভালবাসি।'
কিন্তু সাদা গোলাপটি রাজি হলো না।
তবে গোলাপটি তাকে বললো, আমি যে দিন সাদা থেকে লাল হয়ে যাবো, সে দিন আমি তোমাকে ভালোবাসবো। তারপর বুলবুলিটি প্রতিদিন আসতো এবং দেখে যেতো গোলাপটিকে। কিন্তু সাদা গোলাপটি তো লাল হয় না!
তারপর একদিন বুলবুলিটি গোলাপের কাঁটা দিয়ে নিজের বুক চিরে ফেললো এবং সাদা গোলাপটি মুহূর্তেই যেন রক্তে লাল হয়ে গেলো। তারপর গোলাপটি বুলবুলিটিকে ভালোবাসতে শুরু করলো। কিন্তু তখন যে বুলবুলিটি আর নেই।