এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মানসিক অবসাদ প্রতিটি মানুষের জীবনেই কমবেশি দেখা যায়। জীবনের প্রতিক্ষণে প্রতি বাঁকে কোনও না কোনও ব্যাপারে মন খারাপ হয়ে যায়। আবার তা এক সময় চলেও যায়। আবার কখনও তা রয়ে যায় চেতন-অবচেতন মনের আশপাশে।
মানসিক অবসাদ হল সুখ-আনন্দ ও উৎসাহের ঠিক উলটো অবস্থা। নারী, পুরুষ নির্বিশেষে ডিপ্রেশনে ভোগেন কিন্তু পুরুষদের ডিপ্রেশন বুঝবেন কী করে? মানসিক অবসাদ শুধু মনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। অনেক সময় শারীরিক সমস্যায় পরিণত হয়। এই সময় যে কেউ বেশ ইমোশনাল হয়ে পড়েন। আর এর ফলে সব কিছুর এনার্জি হারিয়ে যায়। না কাজ করার মানসিকতা থাকে, কথা বলতে ভালো লাগে।
রাতে না ঘুমোনোর ফলেও ডিপ্রেশনের শিকার হতে পারেন। আবার অনেকে পরিমাণের অধিক ঘুমোলেও বিষণ্ণতায় ডুবে থাকে। অনেক পুরুষই দিনে ১২ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে মনে করেন সারা রাত ঘুমোননি। আসলে রাতেরবেলা সঠিক পরিমাণে ঘুমোনোর দরকার।
জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত হলে অনেক পুরুষই ডিপ্রেশনে ভোগেন। পেটে ব্যথা, হজমের সমস্যা, পিঠের ব্যথা বা মাথার যন্ত্রণায় অনেক সময়ই ভুগতে হয়। এর থেকেও বিষণ্ণতার জন্ম নেয়।
ডিপ্রেশন মানেই মন খারাপ। এইসময় অনেক পুরুষই ভীষণ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। শান্ত স্বভাবের কেউ যদি হঠাৎ করে রেগে যায়, তবে তার রাগান্বিত রূপটি খুব বেশি করে সবার সামনে ফুটে ওঠে। বিষণ্ণতায় ডুবে থাকলে অনেক পুরুষই অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়েন । আবার অনেকেই ড্রাগ নেন। নিজের অস্বস্তিকর অনুভূতি এড়াতে এইসময় অনেকেই সকলের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ান।
২৭ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস