শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:২১:৩৪

শাড়ি পরা শেখানোর স্কুল!

শাড়ি পরা শেখানোর স্কুল!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাঙালি নারীরা কীভাবে ১২ হাত লম্বা একটি শাড়ি তার শরীরে পেঁচিয়ে রাখেন তা নিয়ে বিশ্বের অন্য জাতির মানুষের রয়েছে কৌতূহল। কীভাবে তারা এতো বড় শাড়ি পেঁচিয়ে হাঁটাচলা করেন, কীভাবে রান্নাবান্না করেন, গৃহস্থালি কিংবা বাইরে ঘুরতে বের হন তা নিয়ে সত্যিই বিস্মিত অন্যরা।

সে যাই হোক, বারো হাত শাড়িটিকে নিজের শরীরে জড়াতে কিন্তু বেশ কসরত করতেই হয় তাকে। জানতে হয় বিশেষ কৌশল। আর এ কৌশল শিখতে বিদেশিদের আগ্রহও কম নয়। শুধু বিদেশি কেন ইদানীং অনেক শহুরে বাঙালি রমনীরাও ঠিকঠাকমতো শাড়ি পরতে পারেন না। এটাই সত্যি।

পশ্চিমা সংস্কৃতির ছোঁয়ায় শাড়ি পরা প্রায় বাদই দিয়েছেন তারা। তাই বলে পৌষ-পার্বণে একটু শাড়ি না পরলে কি চলে!

বিদেশি কিংবা বাঙালি সেইসব নারীদের কথা চিন্তা করেই হয়তো ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এবার গড়ে উঠেছে শাড়ি পরা শেখানোর এক স্কুল।

জংপুরা এক্সটেনশন এলাকার ওই বিশেষ স্কুলটি চালান রিতা কাপুর চিশতি নামের ষাটোর্ধ্ব এক নারী। সেখানে শাড়ি পরার ১০৮টি ধরন শেখানো হয়। শুধু শাড়ি পরাই নয়, স্কুলটিতে শাড়ির ইতিহাস, ভারতের গ্রামীণ এলাকার কতজন নারী শাড়ি বুননশিল্পের সঙ্গে জড়িত এসব বিষয়েও ছাত্রীদের জানানো হয়। ফলে শাড়ি পরা জানলেওয়ালা নারীরা সেখানে ভিড় করতে শুরু করেছেন।

গুজরাট, রাজস্থান, আসাম, কাশ্মীরসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকার শাড়ির আলাদা ফেব্রিক সম্পর্কেও জানানো হয় স্কুলটিতে। রিতার স্কুলের বেশির ভাগ ছাত্রীই বিদেশি। তবে প্রবাসী ভারতীয় নারী, বিদেশ ফেরতসহ স্থানীয় নারীরাও এ স্কুলে শাড়ি পরা শিখতে আসেন।

১০৮ পদ্ধতিতে শাড়ি পরা শিখতেও এরই মধ্যে স্কুলটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ সম্পর্কে এক নারী বলেন, ভারতীয় নারী হিসেবে আমি সব সময় শাড়ি পরা শিখতে আগ্রহী ছিলাম। সৌভাগ্যবশত শাড়ি পরা শেখানোর এ স্কুলটির খোঁজ পেয়েছি। আমার মতো অনেক নারীর জন্য এমন একটি স্কুলের খুব দরকার ছিল।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে