বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬, ০১:৪৮:৩৫

ব্রয়লার মুরগির মাধ্যমে অজান্তেই আপনার শরীরে ঢুকছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল!

ব্রয়লার মুরগির মাধ্যমে অজান্তেই আপনার শরীরে ঢুকছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক :দৈনন্দিন মেনুতে বাঙালির মনপসন্দ ব্রয়লার চিকেন। আর সেই মুরগিকে অল্প সময়ে স্বাস্থ্যবান করতে এবং রোগ থেকে দূরে রাখতে তার শরীরে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। সেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে বাজারে। অজান্তেই আপনার শরীরে ঢুকছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল। কমে যাচ্ছে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মুরগিগুলোর নাদুসনুদুস চেহারা দেখে নিশ্চয়ই জিভে জল আসছে? স্বাভাবিক। ঠিক সেই সময়, যখন মাছের শরীরে বিষ দেখে আপনারা আতঙ্কিত। ভেড়ির মাছের খাবার দেখে আপনারা শিহরিত। ডাক্তাররা যখন বলছেন, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে বেশি করে প্রোটিন খান, তখন তো মাংসই ভরসা। মাটনে আবার হাত ছোঁয়ালেই ছ্যাঁকা। তাই চিকেনই একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু সেগুড়েও বালি। হ্যাচারিতে মুরগি চাষের ছবিটা ভাল করে দেখুন।

মুরগির বাচ্চা মাত্র পাঁচ সপ্তাহেই অ্যাডাল্ট! মাত্র এক কেজি আটশো গ্রাম ম্যাশ খাওয়ালেই এক কেজির নিট মাংস!দুকেজি ওজনের মুরগি জবাইয়ের আগে ম্যাশ খাচ্ছে মাত্র তিন কেজি ছশো গ্রাম!রহস্যটা কী? ম্যাশের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম। ইনজেকশন পুশ করে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। চড়চড় করে বড় হচ্ছে মুরগি, হু হু করে বাড়ছে ওজন। এই ব্রয়লারের মুরগিই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। তারপর চেটেপুটে খাচ্ছি আমরা। কিন্তু জানি কি, পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কী ভয়ঙ্কর বিপদ? রাজ্যের প্রাণি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না আমাদের শরীরে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। ছোটখাটো পেটের রোগ, গ্যাস, অম্বল, সর্দিকাশি, ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। ফলে রোগ সারাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নিতে হবে ডাক্তারদের। যে অ্যান্টিবায়োটিকের একাধিক কুপ্রভাব পড়বে আমাদের শরীরে। আর এখানেই বিকল্প হিসাবে উঠে আসছে অর্গানিক চিকেন। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় অর্গানিক চিকেন চাষের প্রকল্প নিয়েছে রাজ্যের প্রাণি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের।-জিনিউজ
২৯জুন২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/আরিফ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে