এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাড়ির ছোট্ট শিশুটিকে বিশেষ কাজ করানোর সময়ে বড়রা মুখ দিয়ে এই আওয়াজটি অবধারিতভাবেই করবেন। কারণ, এই শব্দটি করলেই নাকি শিশুরা নিজেদের হাল্কা করার জন্য উৎসাহিত বোধ করে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এমনটা কেন হয়, অথবা বড়রা মুখ দিয়ে এমন শব্দ কেন করে?
রাশিয়ার বিজ্ঞানী ইভান পাভলভ কুকুরদের নিয়ে একটি পরীক্ষা করে এই রহস্যের সমাধান করেছিলেন। লক্ষ্য করে দেখবেন, মাংস খাওয়ালেই কুকুরদের মুখে কাছে লালা জমে। পাভলভ একটি কুকুরকে মাংস খাওয়ানোর সময়ে নিয়মিত একটি বেল বাজিয়ে শব্দ করতেন। কয়েকদিন ধরে কুকুরটিকে মাংস খাওয়ানোর সময়ে ওই বেল বাজাতেন ওই বিজ্ঞানী। এইভাবে কয়েকদিন চলার পরে দেখা গেল, মাংস না দিলেও বেল বাজলেই কুকুরটির মুখে লালা চলে আসত। এর থেকে এ বিষয়টি প্রমানিত হয় যে, হজম পদ্ধতি, নিশ্বাস নেয়া এবং প্রাকৃতিক কাজগুলো স্নায়ুতন্ত্রের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সেটিকে বাহ্যিক যে কোনো উদ্দীপক দিয়ে সক্রিয় করা সম্ভব।
ঠিক একইভাবে শিশুরা জন্মানোর কিছুদিন পরে থেকেই তার প্রস্রাবের সময় বড়রা মুখ দিয়ে ওই বিশেষ শব্দটি করেন। ফলে বেশ কিছু দিন ওই শব্দ শোনার পরে একটা সময়ে বড়রা মুখ দিয়ে ওই বিশেষ শব্দটি করলে শিশুদের নির্দিষ্ট স্নায়ুতন্ত্র প্রভাবিত হয়। ফলে বড়রা মুখ দিয়ে ওই বিশেষ শব্দটি করলেই শিশুদের মস্তিষ্ক মূত্রত্যাগ করার জন্য তাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ক্রিয়ার শুরু করে।-এবেলা
৩০ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই