শুক্রবার, ০১ জুলাই, ২০১৬, ০৬:০৪:২২

মৃত্যুকে হাতছানি দেয় এই অভিশপ্ত পাহাড়!

মৃত্যুকে হাতছানি দেয় এই অভিশপ্ত পাহাড়!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আর হত্যা- কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে মানুষকে? ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের মুসৌরির পাহাড়ের ওপর লম্বি দেহর খনিতে প্রভাবটা কিন্তু পড়েছে এক সঙ্গে প্রায় হাজার পঞ্চাশ মানুষের উপরে! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও স্থানীয়রা কিন্তু দাবি করে থাকেন সেটাই! তারা বলেন, এক নারীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই এক রাতের মধ্যে প্রাণ যায় খনির হাজার পঞ্চাশেক শ্রমিকের।

শোনা যায়, ব্রিটিশ আমলে যে সাহেব ছিলেন এই খনির সর্বেসর্বা, তার স্ত্রী লিপ্ত ছিলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে একদিন স্বামীর সঙ্গে সেই মহিলা ঘুরতে আসেন এই খনির কাছাকাছি। আর, নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একটা বড় পাথর সেই প্রেমিক গড়িয়ে দেয় তাদের দিকে। স্ত্রী সরে গেলেও সাহেব নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। স্থানীয়রা বলেন, তার প্রেতাত্মা আজও বাস করছে খনিতে। তিনি না কি কোনও পুরুষকেই বিশ্বাস করতে পারেন না। সেই রাগ থেকেই সাহেবের প্রেতাত্মা হাজার পঞ্চাশেক শ্রমিকের জীবন নেয়!

অনেকে আবার বলে থাকেন এক স্থানীয় মহিলার কথা। এই গল্পটাও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেরই! সেই মহিলাকে তার প্রেমিকের সাথে আপত্তিকর অবস্থা দেখে ফেলেন স্বামীটি! ভয়ে সেই মহিলা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় খনির অন্ধকারে। এক দিন তার কানে আসে গ্রামের দুই শিশুর হত্যার কথা। বাবা না কি ওই দুই শিশুকে মেরে ফেলেছে!

মহিলাটি পুরোটা শোনে! এবং, বুঝতে পারে, ওরা তারই ছেলে-মেয়ে! অনুশোচনায় তখন সেও আত্মহত্যা করে। কিন্তু, খনির শ্রমিকদের উপরে তার রাগ পড়েনি! তাদের মুখ থেকেই সে ঘটনাটা জানতে পেরেছিল বলে! সেই রোষেই না কি মুখে রক্ত তুলে এক রাতের মধ্যে মৃত্যু হয় সব শ্রমিকদের!
ঘটনা যা-ই হোক, খনিটি কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে বন্ধই পড়ে রয়েছে। এখনও খনিতে শোনা যায় দীর্ঘশ্বাস, চাপা কান্না। কখনও কখনও শোনা যায় ক্রুদ্ধ চিৎকার! বোঝা যায়, কেউ অনুসরণ করছে!

ইচ্ছে হলে, উত্তর ভারতের মুসৌরি গেলে আপনি ঘুরে আসতেই পারেন লম্বি দেহর! শুধু খনির ভিতরে ঢোকার আগে একবার ভেবে নেবেন! আসলে, সৃষ্টিকর্তার দেওয়া এই জীবন বড় মূল্যবান! হঠকারিতায় সেটা নষ্ট করার তো কোন মানে হয় না! আর যদি আপনি হন আমার মত অবিবাহিত! তাহলে তো জীবনের অনেক কিছু বাকি আছে এখনো।

উল্লেখ্য, উত্তরাখন্ড রাজ্যে অবস্থিত মুসৌরি, ১৮২৩ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা একটি শৈল শহর রূপে স্থাপিত হয়। এটি ভারতের সবচেয়ে এক অন্যতম জনপ্রিয় শৈল শহর এবং এটি প্রতি বছর পর্যটকদের একটি বিপূল সংখ্যা সূচিত করে। দিল্লী এবং অন্যান্য উত্তর ভারতীয় শহরগুলির সান্নিধ্যতার দরুণ শহরটি সপ্তাহান্তের একটি জনপ্রিয় প্রবেশদ্বার হয়ে উঠেছে। শৈল শহরটি তার সুন্দর বনবীথি, উত্তেজনাপূর্ণ পাহাড়-পর্বত, চমকপ্রদ জলপ্রপাত এবং বিভিন্ন সমৃ্দ্ধ উদ্ভিদকূলের জন্য প্রসিদ্ধ।

১ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে