রহস্যময় মায়া নেকড়ের অস্তিত্ব !
এক্সক্লুসিভ ডেস্কঃ Werewolf -এর বাংলা সহজ অর্থ হলো 'নেকড়ে মানব' । তবে 'মায়া নেকড়ে' শব্দটি তুলনামূলক সুন্দর হওয়ার কারণে বাংলা সাহিত্যিকরা এটাকেই বেছে নিয়েছেন ।
মায়া নেকড়ে রূপকথার ভুবনে খুবই জনপ্রিয়, প্রায় সকল নেকড়ে অধ্যুষিত এলাকায় এর প্রচলন রয়েছে । আমাদের গ্রামাঞ্চলে নেকড়ে থাকলে আমরাও হয়ত ছোটবেলায় এর গল্প শুনতে পেতাম । এই রূপকথার প্রচলন হয়েছে মূলত ইউরোপে ।
মায়া নেকড়ে বলতে বুঝায় এমন একজন ব্যক্তিকে, যে রাতের বেলায় নেকড়েতে পরিনত হয় এবং মানুষ ও জীব-জন্তু হত্যা করে বা মৃতদেহ ভক্ষণ করে, আবার দিনের বেলায় মানুষ রূপ ধারণ করে । ধারণা করা হয় কিছু মায়া নেকড়ে তাদের ইচ্ছামতো তাদের রূপ পরিবর্তন করতে পারে ।
এছাড়া মায়া নেকড়েরা কাউকে আঁচড় বা কামড় দিলে সেই ব্যক্তিও মায়া নেকড়েতে পরিণত হয়ে যাবে ! উত্তরাধিকারসূত্রেও কেউ মায়া নেকড়ে হতে পারে । উপরিউক্ত দুটি ক্ষেত্রে যেমন- উত্তরাধিকারসূত্রে ও আঘাতপ্রাপ্ত আক্রান্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র পূর্ণ চাঁদের আলো বা জোৎস্নার সময় নেকড়ে রূপ ধারণ করবে !
চাঁদের আলো যতক্ষণ থাকবে, সে ততক্ষণ মায়া নেকড়ে থাকবে । সে মায়া নেকড়ে হবে নিজের অজান্তেই এবং মানুষ রূপ ফিরে পাবার পর সে রাতের ঘটনা ভুলে যাবে ! মায়া নেকড়েকে মেরে ফেললে সে আবার তার আগের রূপে (মানুষ রূপে) ফিরে যাবে এবং তার দেহে তখন আঘাতের কোনো চিহ্নই থাকবে না !
আমেরিকার বুনো পশ্চিমে অনেকে দাবি করেন, তারা মায়া নেকড়েকে তাদের গবাদি পশুকে হত্যা করতে দেখেছেন ! কেউ কেউ আবার গুলি খেয়ে আহত মায়া নেকড়ের পালিয়ে যাবার কথাও শুনিয়েছেন । তবে বাস্তব প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মায়া নেকড়েতে বিশ্বাস প্রায় সারা পৃথিবীতেই আছে সেই প্রাচীন কাল থেকে । তবে এই ধারণা ষোড়শ শতাব্দিতে ফ্রান্সে গেড়ে বসে ।
এমনকি বহু মানুষও আছেন যারা নিজেদেরকে নেকড়ে হিসেবে ভাবে !
শুধু তাই নয়, আধুনিক এ যুগেও মায়া নেকড়ে নিয়ে হলিউডে একের পর এক রিলিজ পাচ্ছে অসাধারণ সব মুভি ও গেমস । তবে সবচেয়ে বড় কথা আমাদের এই অদ্ভুত পৃথিবীতে মায়া নেকড়ে কি সত্যি বিদ্যমান ? নাকি শুধুই প্রাচীন লোকগাথার অংশ? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আজও সকলের কাছে অজানা ।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস