শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:২৬:১৯

সমুদ্রের ১১ কিলোমিটার নিচে শুটিং

সমুদ্রের ১১ কিলোমিটার নিচে শুটিং

নিউজ ডেস্ক : কোনোরকম বিপত্তি ছাড়াই পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর সমুদ্র তলদেশ ‘দ্য চ্যালেঞ্জার ডেপ’ ঘুরে এসেছেন ‘টাইটানিক’খ্যাত কানাডিয়ান চিত্রনির্মাতা জেমস ক্যামেরন।

প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের ১১ কিলোমিটার নিচে এক ঘণ্টা ধরে শুটিংয়ের পাশাপাশি গবেষণাকাজে ব্যবহারের জন্য নমুনাও সংগ্রহ করে আনেন তিনি।

ধারণ করা থ্রিডি ফুটেজ ব্যবহার করে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করবেন ক্যামেরন। পুরো কাজ শেষ হলে ‘দ্য চ্যালেঞ্জার ডেপ’-এর অদেখা সব দৃশ্য দেখা এবং জানার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির সঙ্গে সমুদ্র নিয়ে যৌথভাবে গভীর গবেষণার কাজ করছেন ক্যামেরন। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি নিজের নকশা করা ‘ভার্টিক্যাল টর্পেডো’ নামে সবুজ রঙের সাবমেরিনে চেপে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরের ‘দ্য চ্যালেঞ্জার ডেপ’ অভিযানে একাই গিয়েছিলেন ক্যামেরন।

গত সপ্তাহে এই অভিযান সম্পন্ন করেছেন ক্যামেরন। সকাল ৮টায় তিনি ভার্টিক্যাল টর্পেডোতে চেপে দ্য চ্যালেঞ্জার ডেপ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। অন্তত ১০ হাজার ৯০০ মিটার পথ পাড়ি দেন তিনি। সমুদ্রের তলদেশ থেকে উপরে উঠে আসতে তার সময় লাগে মাত্র ৭০ মিনিট, যা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম।

উল্লেখ্য, ভার্টিক্যাল টর্পেডো এমন একটি সমুদ্র যান, যা কেবল একজন যাত্রী বহনে সক্ষম। তুলনামূলকভাবে অনেক কম সময়ে খাড়াভাবে সমুদ্রের তলদেশে চলে যেতে পারে এটি।

আট বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। অবশেষে পরীক্ষামূলক যানটি ব্যবহার করে সফলতার মুখ দেখলেন ক্যামেরন।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে