এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যেখানে ভূতের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়- কথাটা এবার থেকে বলার আগে সাবধান! এও বলা যাবে না যে অন্ধকারেই ভূতেদের আসল রাজত্ব!
সন্দেহ প্রকাশ করা যেতে পারে সনাতন বৈদিক ধারণা নিয়েও। যেখানে বলা আছে, ব্রাহ্মমুহূর্ত মানে ভোরের আলো ফোটার ঠিক আগের সময়টাতেই না কি সব চেয়ে বেশি ক্ষমতা ধরে অপদেবতারা!
এই সব ধারণাকেই যে তছনছ করে দিচ্ছে ভারতের দক্ষিণ গোয়ার ইগরচেম সরণি! যেখানে দিন-দুপুরেও হানা দেয় ভূতেরা! দক্ষিণ গোয়ার এক ছোট্ট গ্রাম, নাম তার রাইয়া। সেই গ্রামেই রয়েছে এক বিখ্যাত গির্জা- চার্চ অফ আওয়ার লেডি অফ স্নো! সেই গির্জা সংলগ্ন পথই হল ইগরচেম। শোনা যায়, রাতের বেলা তো নয়ই, এমনকী দিনের বেলাতেও সবুজে ঘেরা এই পথ আদৌ নিরাপদ নয়।
কারণটা অপদেবতা বা ভূতের ভয়!
স্থানীয় মানুষ তো বটেই, এমনকী ওই গির্জার ধর্মযাজকরাও সভয়ে বলে থাকেন ওই পথের ভুতুড়ে বৃত্তান্ত। ওই পথে না কি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাস করছে অতৃপ্ত আত্মারা। কেন তাদের এই পথ বসবাসের জন্য এত পছন্দ, তা কেউ বলতে পারেন না। তবে সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নেন ভৌতিক উপদ্রবের কথা।
জানা যায়, এই পথে একবার যদি কেউ পা রাখেন, তবে তাকে ভূতের খপ্পরে পড়তেই হয়! যদি তারা খুব পুণ্যবান হন বা অসীম সাহসী, তবে অল্প রোগভোগের উপর দিয়ে রেহাই মেলে। আর দুর্বলচিত্ত মানুষের সঙ্গে কী হয়?
সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরে না কি ঢুকে পড়ে ভূতেরা! গ্রামের অনেকেই দেখেছেন, এই পথে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চেহারা পুরো রক্তশূন্য হয়ে যায় মানুষের। চোখদুটো লাল হয়ে ওঠে। পাশাপাশি, বিকৃত স্বরে কথা বলা শুরু করেন ওই ভূতগ্রস্ত মানুষেরা। সব থেকে ভয়ের ব্যাপার, এই ঘটনার ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তাঁদের সারা শরীর জোরে জোরে কাঁপতে থাকে, ঠিক যেন কারও সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছেন তারা!
এছাড়া, সব সময়েই ওই পথে শোনা যায় অদৃশ্য কারও কণ্ঠস্বর। হাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই স্বর কথা বলে। ঠিক কী বলতে চাইছে সেই কণ্ঠস্বর, তা যদিও বোঝা যায় না। অতএব, গোয়া গেলে সাবধান! ছুটির ফাঁদে ভূতের হাতে ধরা দিয়ে লাভ কী!
২ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস