এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কিশোর বয়সে ভূতের ভয় বিশেষ লাগে না বললেই চলে৷ বিশেষ করে কোনও রূপবতী মহিলাকে যদি সামনে থেকে হেঁটে যেতে দেখা যায়, তবে ভূতের ভয় লাগার তো কোনও প্রশ্নই নেই৷ কিন্তু পুরানো প্রবাদ কী এত সহজে ভুলে যাওয়া যায়? “সরষের মধ্যেই ভূত”?
এক্ষেত্রে যাকে সুন্দরী মহিলা ভাবছেন তিনিই যদি অশরীরী হন? বেশি হেয়ালি করে কাজ নেই!
ঘটনাটি খানিকটা এমনই৷ ষোলো বছরের অনন্ত (নাম পরিবর্তিত) আত্মীয়র বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল৷ ভারতের মুম্বাইয়ের নালাসোপারায় অনন্তের আত্মীয়র বাড়ি৷ ছুটির মেজাজে থাকা অনন্ত পাড়ায় ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল৷ হঠাৎই পাশ দিয়ে নীল পোশাক পরা এক সুন্দরী যুবতীকে হেঁটে যেতে দেখে অনন্ত৷ খুব স্বাভাবিকভাবেই যুবতীর সৌন্দর্য তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল৷ তাই বারবার ওই অচেনা যুবতীকে ঘুরে দেখতে থাকে আনন্দ৷
অনন্তের দাবি, ওই যুবতীও নাকি তাকে বার কয়েক ফিরে দেখেছিলেন৷ এরপর খেলার নিয়মে রাস্তার শেষদিকে ফিল্ডিং করতে যায় অনন্ত৷ ওই অচেনা যুবতীও ওই পথেই যাচ্ছিলেন৷ তাই ফিল্ডিং করার সময় যুবতীর দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে যায় অনন্ত৷ এরপরই নাকি সেই মিরাকল ঘটে৷ অনন্ত লক্ষ্য করে, যুবতী নাকি তার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে শুরু করেন৷ বেশ কিছুক্ষণ পর যুবতী একদম তার সামনে এসে দাঁড়ান৷ ফিল্ডিং ভুলে অনন্ত তখন যুবতীর দিকে একভাবে চেয়ে আছে৷
হঠাৎই পাশের বাড়ির দারোয়ান অনন্তকে ডাক দেন৷ দারোয়ানের দিকে তাকালে অনন্তকে তিনি বড় রাস্তার কাছে যেতে মানা করেন৷ কিন্তু এরপর যখন যুবতীর দিকে আনন্দ মুখ ফেরাল, ঘটনাটি ঘটে ঠিক সেই মুহূর্তে৷ আনন্দ দেখে এক মুহূর্তেই যুবতী গায়েব! কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে তিনি গেলেন কই?
যুবতীকে দেখেছে কিনা বন্ধুদের প্রশ্ন করে অনন্ত৷ কিন্তু অনন্ত ছাড়া কেউই আর সেই যুবতীর দেখা পাননি৷ একমাত্র অনন্তই ভিড়ের মাঝে ওই যুবতীর দেখা পেয়েছিল৷ কে ছিলেন সেই যুবতী? অনন্তকে তিনি দেখাই বা দিয়েছিলেন কেন? প্রশ্নের উত্তর আজও অনন্ত পায়নি!
৭ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস