এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জায়গাটা তথাকথিত ভাবে গোরস্থান৷ তবে সেখানে সৎকারও হয় না, মৃতদেহ কবরও দেওয়া হয় না৷ বরং মৃতদেহ খোলা আকাশের নিচে রেখে যাওয়া হয়৷ যাতে চিল শকুনে ছিঁড়ে খেতে পারে সেই দেহ৷ ভেবেই শিউরে উঠছেন? কিন্তু এমনটাই নিয়ম পার্সিদের সৎকারের৷ মৃতদেহকে জগতে উৎসর্গ করা৷ মারা যাওয়ার পরও পৃথিবীর খানিক উপকারে নিজেদের নিয়োগ করা৷
ভারতেও পার্সিদের সৎকার স্থান রয়েছে৷ একে বলা হয় ‘টাওয়ার অফ সাইলেন্স’৷ বিরাট উঁচু এক দুর্গের মাথায় বস্ত্রহীন মৃতদেহ রেখে যায় পার্সি পরিবারগুলি৷ আর তারপর সেই মৃতদেহের কী পরিণতি হয় তা তো সকলেরই জানা৷ শোনা যায় এই টাওয়ার অফ সাইলেন্সে মানুষের যাতায়াত একেবারেই নেই বললেই চলে৷ কেবল মৃতদেহ রাখতেই পার্সি পরিবারগুলি হাজির হয় এখানে| মৃতদেহ পৃথিবীকে উৎসর্গ করেই সেখান থেকে ফিরে যান মৃতদের পরিবারের লোকজন৷
শোনা যায়, দিনের বেলাতেও এত চুপচাপ থাকে এই টাওয়ার যে পিন ফেললে পর্যন্ত আওয়াজ হয়৷ মুম্বাইয়ের মালাবার পাহাড়ের কাছে এই টাওয়ার অফ সাইলেন্স কেবল জানান দেয় অগুনতি মৃতদেহের অবস্থানের৷ শোনা যায়, দিনের বেলাতেও মৃতদের ডেরায় একা যাওয়ার সাহস পাওয়া যায় না৷ মুম্বাইয়ের মতো জনবহুল শহরেও এমন মৃতদের ডেরার কথা জানলে চমকে উঠতে হয় বৈকি!
ভাবতে পারেন এমন এক দুর্গের সন্ধান পেলেন আপনি, যার ছাদে রয়েছে মৃতদেহের সারি! যার কোনওটা খাচ্ছে চিলে, কোনওটা শকুনে!
৮ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস