এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যে সরকারি চাকরির জন্যে বেশিরভাগ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে থাকেন, এক কথায় সেই সরকারি চাকরিকে বিদায় জানিয়েছিলেন জয়সলমেরের হরিশ ধনদেব।
কৃষি পরিবারের সন্তান হরিশ একবার দিল্লিতে কৃষি এক্সপো দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই গিয়েই মত পরিবর্তন হয় তার। সিদ্ধান্ত নেন আর সরকারি চাকরি করবেন না। বরং সময় দেবেন কৃষিকাজে। জয়সলমের থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধাইসর-এ ১২০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে তার ক্ষেত।
সেখানেই তিনি শুরু করেন অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) এবং অন্যান্য শস্যের চাষ। তৈরি করেন তার নিজস্ব সংস্থা ন্যাচুরেলো অ্যাগ্রো। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন বছরে তার সংস্থার টার্নওভার দেড় থেকে ২ কোটি রুপি। থর মরূভূমির অ্যালোভেরা চলে যায় পতঞ্জলি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড-এর কারখানায়। তাই দিয়েই তৈরি হয় অ্যালোভেরা জুস।
মরুভূমি অঞ্চলের অ্যালোভেরার গুণগতমান এতটাই ভালো যে বিদেশেও এর চাহিদা তুঙ্গে। জয়সলমিরের মিউনিসিপাল কাউন্সিলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদে ইস্তফা দেয়ার সময় যে সামান্য দ্বিধা ছিল, এখন তার আর কোনো জায়গা নেই হরিশের জীবনে। এক বছরের মধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি।
তার ক্ষেতের অ্যালোভেরা চাহিদা রয়েছে ব্রাজিল, হংকং এবং আমেরিকাতেও। শুরুতে ৮০ হাজার অ্যালোভেরার চারা লাগিয়েছিলেন তিনি। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখে। -এই সময়
১২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম