বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৪৩:২২

যে কবরস্থানে অশরীরী প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়ায়!

যে কবরস্থানে অশরীরী প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়ায়!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই খুব রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছেন ভূত বিশেষজ্ঞ গৌরব তিওয়ারি৷ ভূত বিশেষজ্ঞের মৃত্যুর পর অশরীরীর উপস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস বাড়ছে৷

আজ এমনই একটি সত্য ঘটনা সম্পর্কে জানাব৷ অভিজিত পাটিল নিজে অশরীরীর দেখা পেয়েছেন ভারতের হিমাচল প্রদেশের মানালিতে ট্রেকিং করতে গিয়ে৷ অভিজিত এবং তার বন্ধুরা মানালিতে গিয়েছিলেন ট্রেকিংয়ে৷ বেশিদিন আগের ঘটনা নয়৷ ২০১৫ সালের মে মাসে তারা ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন৷ বেসক্যাম্পের তিন নম্বর ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল অভিজিত ও তার বন্ধুদের৷

সারাদিন হেঁটে বেশ ক্লান্তই ছিলেন তারা৷ ট্রেকিং করতে বাকি যারা এসেছিলেন তারা বেশিরভাগই নাকি বেসক্যাম্পে রাত্রিযাপন করতে চাননি৷ ফিরে গিয়েছিলেন নিজেদের গন্তব্যে৷ কিন্তু সারাদিন প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ চলার পর হাঁপিয়ে গিয়েছিলেন অভিজিত ও তার বন্ধুরা৷ তাই তারা ক্যাম্প নম্বর তিনেই রাত কাটাবার সিদ্ধান্ত নেন৷

অভিজিত জানিয়েছেন, তাদের গ্রুপলিডার তাদের রাতে একা তাঁবুর বাইরে যেতে বারণ করেছিলেন৷ কিন্তু রাত তিনটের সময় অভিজিতের হঠাৎই খুব টয়লেট যাওয়ার প্রয়োজন পরে৷ বাইরে তখন তাপমাত্রা শূণ্য ডিগ্রির কম৷ অসম্ভব ঠাণ্ডায় বন্ধুবান্ধব প্রায় অকাতরে ঘুমোচ্ছেন৷ অভিজিত দু’তিনবার বন্ধুদের ডাকেনও৷ কিন্তু কেউই ঘুম থেকে উঠে তাঁর সঙ্গে যাননি৷ অগত্যা একাই টয়লেটে গিয়েছিলেন অভিজিত৷

অভিজিত জানিয়েছেন সেদিন বাইরে চাঁদের আলো ছিল৷ বরফের উপর চাঁদের আলো পড়েছিল৷ তাই চারপাশে প্রায় দিনের আলোর মতো লাগছিল৷ কিন্তু বিপদ বাধলো টয়লেট থেকে ফেরার সময়৷ সবে ফ্লাশ করে অভিজিত ক্যাম্পে ফেরার জন্য মুখ ফিরিয়েছেন৷ হঠাৎই দেখলেন বাইরে চারপাশ নিকষ অন্ধকার৷ অন্ধকার দেখে ঘাবড়েই গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তারপর যা হল তা আরও ভয়াবহ৷

দুটি লাল চোখ হঠাৎই তার দিকে এগিয়ে এসে তাকে হিঁচড়ে টেনে নিয়ে চলল কোনও অচেনা জায়গায়৷ ওই অশরীরীর চেহারা কেমন তা বুঝে উঠতে পারেননি অভিজিত৷ প্রাণ বাঁচাতে তখন চিৎকার করছেন৷ যন্ত্রণায় ছটফট করছেন৷ ওই বীভৎস মূর্তি যখন তাকে এক জায়গায় এনে ফেলল সে দেখতে পেল সামনে কবর! এরপর আর তাকিয়ে থাকতে পারেননি তিনি৷ জ্ঞান হারিয়েছিলেন৷

এরপর যখন তার জ্ঞান আসে, তিনি লক্ষ্য করেন তার বন্ধুরা তার পাশেই রয়েছে৷ কিন্তু তারা একটি কবরখানার মধ্যে রয়েছে৷ বন্ধুরা তাকে জানান, তার গলার আওয়াজ অনুসরণ করেই সেই কবরস্থানে পৌঁছেছিলেন তার বন্ধুরা৷

এই অভিজ্ঞতা নিয়ে যখন তারা ক্যাম্প থেকে ফিরে স্থানীয় লোকদের জানিয়েছিলেন তখন তাদের কথা শুনে আরও অবাক হয়েছিলেন অভিজিত৷ কারণ তারা জানিয়েছিলেন ওই কবরখানা থেকে কেউ জীবিত ফেরেননি আগে৷ অভিজিতই প্রথম৷ কোন এক ব্রিটিশ ট্রেকার বহুদিন আগে সেখানে ট্রেক করতে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু স্থানীয় লোকেরা তাকে হত্যা করে৷ আর তারপর থেকেই সেই ব্রিটিশ ট্রেকারের অশরীরী সেখানে ঘুরে বেড়ায়৷

কিন্তু বেসক্যাম্পের কাছে ওই কবরস্থানের কথা থেকে এল? স্থানীয়রা জানিয়েছেন ব্রিটিশরা এই কবরস্থান বানিয়েছিলেন৷ সেখানে শেয়ালের ভয় খুব৷ কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভয়ের সেই ব্রিটিশ ট্রেকারের অশরীরী৷

১৪ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে