নিউজ ডেস্ক: গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্টেশনের প্লাটফর্মে বসেই পড়াশুনা করছে একটা কিশোর। সামনে ওজন মাপার যন্ত্রসহ একটা সাদামাটা ছবিসহ এমটি নিউজ টোয়েন্টিফোরে ‘রাস্তার আলোয় পড়াশোনা’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার অবলম্বনে ওই খবরটি প্রকাশের পর পাল্টে গেছে ওই কিশোরের জীবন। সেই সাথে সে ফুটপাতের জীবন থেকে দিয়েছে মুক্তি পেয়েছে।
ছবির নায়ক ১৩ বছরের হরেন্দ্র সিং চৌহান। বেশ কিছুদিন থেকেই স্টেশনের সামনে একটা ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসে থাকে। তার পাশে অনেক ভিখারী বসলেও আর সবার মত সে ভিক্ষা চায় না। তার যন্ত্রে কেউ ওজন মাপলেই কেবল সে টাকা নেয়। আর সেইসঙ্গে সেরে নেয় তার হোমওয়ার্কও।
সে জানে, পড়াশোনাটা তাঁকে করতেই হবে। সে এ-ও জানে, দু-পয়সা উপার্জনও সমান জরুরি। পড়াশোনাটা না-করলে, দারিদ্র্যের চিরকালীন অন্ধকার যে ঘুচবে না, ছোট্ট বয়সেই সে বুঝে গিয়েছে। এ-ও বুঝেছে, পড়াশোনার সঙ্গ পেতে দিনশেষে কিছু টাকা নিয়ে ঘরে ঢুকতে হবে।
হরেন্দ্র সিং ভারতের নয়ডার বাসিন্দা। ফেসবুকে ছবিটি পড়তেই হু হু করে শেয়ার হতে থাকে ওয়াল থেকে ওয়ালে। কিশোরের অদম্য ইচ্ছার গল্প নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকেই। বহু পরিবারের তরফ থেকে তাকে সাহায্য করার আশ্বাসও মিলেছে। দু’দিন আগে সমাজবাদী পার্টির নয়ডা ইউথ ব্রিগেডের প্রেসিডেন্ট আশ্রয় গুপ্তার চোখে পড়ে বিষয়টি। তিনিও এই কিশোরের জন্য ফান্ড পাঠানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, নিউজটি পোষ্ট করার পর সেখানে লেখা ছিলো- ‘একটাই অনুরোধ, সাহায্য করুন এই পরিশ্রমী পড়ুয়াকে। তবে, প্লিজ প্লিজ প্লিজ পথের ভিখারি বানিয়ে দেবেন না তাকে। তার আত্মমর্যাদাকে দাম দিন। প্রয়োজন না-থাকলেও, শুধু তারা পড়াশোনায় সাহায্য করছেন ধরে নিয়ে উঠে পড়ুন পাশে রাখা ভারবাহী ছোট্ট যন্ত্রটায়। আপনার দেওয়া ষোলয়ানাতেই সে বুনবে ভবিষ্য-ষোলকলার বনিয়াদ।’ এরপরই তাকে সাহায্যের জন্য সবাই এগিয়ে আসে।টাইমস অব ইন্ডিয়া।
২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ