এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ক্যালসিয়ামের অনেক উৎসের মধ্যে 'খুশি'ও যে একটা উৎস হতে পারে, আগে শুনেছেন কখনও? মানুষের ক্ষেত্রে কী ঘটে জানা না গেলেও, গরুর ক্ষেত্রে কিন্তু কথাটা ষোলআনা খাঁটি। অন্তত গবেষকদের দাবি তাই। গর্ভাবস্থায় জার্সি গরুকে খুশিতে রেখে তাঁরা দেখেছেন, বাচ্চা হওয়ার পর গরুর দুধে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অনেকখানি বেড়ে গেছে।
বাজারে ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ গরুর দুধের চাহিদা সবসময়ই রয়েছে। শুধু দুধ বলে নয়, দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারই (চিজ থেকে দই) ক্যালসিয়ামের প্রাথমিক উত্স। গোরুর শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারকই। সাধারণত গর্ভাবস্থার আগে-পরে গরুর এই হাইপোক্যালসেমিয়া দেখা যায়।
বিশেষত, গরু যদি বদহজমে ভোগে বা দীর্ঘসময় বাদে বাদে বাচ্চা দেয়। যার প্রভাব পড়ে গরুর দুধে। স্বাভাবিক কারণেই হাইপোক্যালসেমিয়ায় ভোগা গরুর দুধেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে যায়। এই হাইপোক্যালসেমিয়া নিয়ে গবেষণা চালাতে গিয়েই ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসনের গবেষকরা দেখেন রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সেরোটনিনের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
তাঁরা আরও দেখেন, গরু কতটা খুশি রয়েছে, তার উপরই নির্ভর করছে এই রাসায়নিকের মাত্রা। এবং এই সেরোটনিনই রক্তে ও দুধে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই গবেষণা রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ এন্ডোক্রিনোলজিতে।-এই সময়
১৭ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ