বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬, ০২:১৯:২৪

মস্কো বিমানবন্দরে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন মনমোহন সিং!

মস্কো বিমানবন্দরে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন মনমোহন সিং!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মস্কো বিমানবন্দরে নেমে আসছে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান। ওই  বোয়িং ৭৪৭ বিমানে ছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। অথচ, রানওয়ের মাটি ছোঁয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বিমানের চাকা বেরলো না! বিপদ আসন্ন বোঝা যাচ্ছিল।

বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মস্কো এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর কর্মীরা বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটের সঙ্গে। অনবরত বিপদসঙ্কেত পাঠাচ্ছেন ককপিটে। কিন্তু, কোনও সাড়া মিলছে না। অবশেষে, একেবারে শেষ মুহূর্তে নেমে এল চাকা। এড়ানো গিয়েছিল দুর্ঘটনা।

২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তার বিশেষ বিমান যে বিমানবন্দরে নামার আগেই এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, সে ‘প্রমাণ’ মিলেছে ওই বিমানের ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (এফডিআর) থেকেও। উড়ানের সময় বিমানের প্রতি সেকেন্ডের তথ্য ওই যন্ত্রে রেকর্ড করা থাকে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ওই দিন বিমানের চাকা নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে নেমে এসেছিল।

ওই যন্ত্রে রেকর্ড থাকা তথ্য বলছে, মনমোহনের মতো ভিভিআইপি যাত্রী নিয়ে বিমানটি ‘ইলেকট্রনিক গ্লাইড স্লোপ’-এর নির্ধারিত উচ্চতার থেকে অনেক নীচে দিয়ে উড়ছিল। এবং বেশ কিছু ক্ষণ ওই ভাবেই উড়েছিল। সেই সময় এটিসি থেকে বার্তাও পাঠানো হয়েছিল বার বার। এর পরেই চাকা নেমে আসে।

‘ইলেকট্রনিক গ্লাইড স্লোপ’ বিমানের অবতরণের সময় পথ নির্দেশ করে। সেই পথ মেনেই রানওয়ের মাটি স্পর্শ করে বিমান। কিন্তু, ওই দিন তা হয়নি। কেন? বার বার বিপদসঙ্কেত পাঠানো সত্ত্বেও কেন বিমানের চাকা নামানো হয়নি? বিমানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কী? সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও মুখ খোলেননি।

তবে, পাইলটদের একটা অংশের মতে ঘটনাটি খুবই অস্বাভাবিক। একে তো ‘ইলেকট্রনিক গ্লাইড স্লোপ’-এর নির্দেশ মানা হয়নি। তার উপর এটিসি বার বার বিপদসঙ্কেত পাঠিয়েছে। সে সবকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যদি যান্ত্রিক কোনও ত্রুটির জন্য এটা হয়ে তাকে, তবে সেটা খুবই মারাত্মক বলে জানাচ্ছেন তারা। তবে অন্য একটা অংশের মতে, যে ল্যান্ডিং গিয়ার নামালে বিমানের চাকা পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে তা বের করলে প্রচণ্ড শব্দ হয় বিমানের ভেতরে।

মনমোহনের মতো এমন এক জন ভিভিআইপি বিমানে থাকায় সেই শব্দ যাতে তাকে বেশি ক্ষণ সহ্য করতে না হয়, সে জন্যও শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো হতে পারে। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত যে বিপদ ডেকে আনতে পারত, তাও মেনে নিচ্ছেন ওই পাইলটরা। -আনন্দবাজার

২৮ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে