শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬, ০৯:১৫:০৩

২ বছর ধরে শুনানি বন্ধ এই অভিশপ্ত আদালতের এজলাসে

২ বছর ধরে শুনানি বন্ধ এই অভিশপ্ত আদালতের এজলাসে

এক্সক্লুসিভ  ডেস্ক : এক সময়ে মাইসুরুর এই আদালত-কক্ষ সাক্ষী থেকেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির! সব কিছু থমকে গেল ২০১৪ সালে। খবর রটে গেল- এই আদালত-কক্ষটি না কি অভিশপ্ত! যে বিচারপতি মামলা বসাবেন এখানে, তার ভাগ্যে রয়েছে নিশ্চিত মৃত্যু! শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পরে তার আত্মা শান্তিও পাবে না। এই আদালত-কক্ষেই ঘুরে বেড়াবে বিচার চেয়ে!

কোনও স্থান ভৌতিক এবং অভিশপ্ত হলে তাকে নিয়ে যে সব কাহিনি শোনা যায়, তার মধ্যে কিছু রটে এবং বাকিটা ঘটে! কিছুটা থাকে সত্য, বাকিটা থাকে আতঙ্ক থেকে জাত কৌতূহলের মিশেল। ভারতের কর্ণাটকের মাইসুরুর এই আদালত-কক্ষ নিয়েও কি সেটাই হয়েছে?

সেই বিচারে আসার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন এর অভিশপ্ত হওয়ার নেপথ্য-কাহিনি। জানা যায়, অন্য দিনের মতোই ২০১৪ সালে এক বিচারপতি মামলা বসিয়েছিলেন এই ঘরে। সেই মামলার রায় দেওয়ার পরে তিনি নিয়মমতো নিজের গাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ির পথে। বাড়ি ফেরা অবশ্য হয়ে ওঠেনি। পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। অকুস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনায় দুঃখিত হন সহকর্মীরা। পাশাপাশি, তাঁদের মনে সঞ্চারিত হয় এক নিদারুণ আতঙ্ক। যখন এক জ্যোতিষী ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েদেন ওই বিচারপতির মৃত্যুর কারণ!

সেই জ্যোতিষী সে দিন কোনও এক কাজে হাজির ছিলেন আদালতে। বিচারপতির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই তিনি সতর্ক করেন সবাইকে। বলেন, ঘরটি অভিশপ্ত। সেই অভিশাপের গ্রাসেই জীবন হারিয়েছেন বিচারপতি। অতএব, শান্তি-স্বস্ত্যয়ন না করে কক্ষটিতে মামলা বসানো উচিত হবে না!
স্বাভাবিক ভাবেই সবাই সেই জ্যোতিষীর কথায় কান দিতে চাননি। তাঁর সতর্কবার্তাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন! কিন্তু, পরে দেখা গেল, ব্যাপারটা ততটাও লঘু নয়!

ওই আদালত-কক্ষে রীতিমতো টের পাওয়া গেল মৃত বিচারপতির উপস্থিতি। দিনের আলোতেই সবাই বুঝতে পারলেন, মৃত বিচারপতি ওই কক্ষ ছেড়ে কোথাও যাননি! শোনা গেল তাঁর কণ্ঠস্বর, বোঝা গেল চেয়ারে কেউ বসছে!

তার পর থেকেই ওই কক্ষটি বন্ধ পড়ে রয়েছিল। টানা নয় মাস। ওই ঘরে কোনও মামলা বসানো হত না। পরে যদিও মাইসুরুর বার অ্যাসোসিয়েশন কক্ষটি বন্ধ রাখার বিরোধিতা করে। নোটিশ দিয়ে জানায়, পুরোটাই গুজব। এবং, এই গুজব প্রসারে আদতে মৃত বিচারপতির আত্মার অবমাননাই হয়!
তার পরেও কিন্তু কক্ষটি বড় একটা ব্যবহৃত হয় না। কারণটা কি একেবারেই অমূলক?
২৯ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে