মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট, ২০১৬, ০১:৩১:০৬

আত্মহত্যার পর আত্মার কী গতি হয়? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

আত্মহত্যার পর আত্মার কী গতি হয়? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : স্বাভাবিক মৃত্যু আর আত্মহত্যার মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। কোনও ধর্মেই আত্মহত্যার কোনও প্রশংসা নেই। তাকে ‘মহাপাপ’ বলেই বর্ণনা করে যাবতীয় শাস্ত্র। বিভিন্ন ধর্মের গ্রন্থাদিতেও আত্মহত্যাকারীর আত্মার গতি সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য রাখে। বলাই বাহুল্য এই বক্তব্য একান্তভাবে নেতিবাচক। এখানে এ বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র কী বলছে, তার কয়েক ঝলক উপস্থাপিত হল। খবর এবেলা’র।

• জ্ঞানত যারা আত্মহত্যা করেন, তাদের আত্মা ‘কামলোক’ নামক এই বিশেষ সাইকিক স্তরে অবস্থান করতে থাকে। এই স্তর থেকে তাদের আত্মা ইহজাগতিক সবকিছুকেই প্রত্যক্ষ করে।

• এই স্তরে অবস্থানরত অবস্থায় আত্মহত্যাকারীর আত্মা সেই সব কিছুকে দেখতে পায়, যা আত্মহত্যা না করলে তারা দেখতে পেত।

• যদি কোনও ব্যক্তির আয়ু ৮০ বছর হয়ে থাকে এবং তিনি ৩০ বছর বয়েস আত্মহত্যা করেন, তবে শাস্ত্রমতে তাকে কামলোকে ৫০ বছর অতিবাহিত করতে হবে।

• প্রকৃত আয়ু অতিবাহিত করার পরেই সেই সব আত্মা কামলোক ত্যাগ করতে পারে।

• শাস্ত্রমতে কামলোক একটা ফাঁদ। এখানে অবস্থানরত অবস্থায় আত্মা যে পরিমাণ কষ্ট পায়, তা সে জীবদ্দশাতেও পায়নি।

• এই দশা কখনওই স্বাভাবিকভাবে মৃত ব্যক্তির আত্মাকে পেতে হয় না। কারণ তাদের প্রারব্ধ পূর্ণ হয় এবং তা অনুযায়ী তাঁদের অন্য গন্তব্য নির্ধারিত হয়।

• আত্মহত্যাকারী যে মৃত, অনেকসময়ে তার আত্মা তা টেরই পায় না। নিজেকে জীবিত মনে করে তারা বহু দিন কাটায়।

• এই পরিস্থিতিতে তারা অনুতপ্ত বোধ করে। কোনও মিডিয়ামকে খুঁজে নিজের প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায়।

• প্ল্যানচেটকারীদের অনেকেই বলেন, আত্মহত্যাকারীদর আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা ঝুঁকির ব্যাপার। এতে মিডিয়ামের চরম ক্ষতি ঘটতে পারে।

০২ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে