বুধবার, ০৩ আগস্ট, ২০১৬, ০৪:১৫:১৭

অভিশপ্ত বাংলো, যেই মন্ত্রীই উঠেছেন সেই মরেছেন!

অভিশপ্ত বাংলো, যেই মন্ত্রীই উঠেছেন সেই মরেছেন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাস্তুশাপ? শুনতে খুব অবাক লাগলেও সেটাই বলে থাকেন সবাই! তারা কেউই কিন্তু কুসংস্কারগ্রস্ত সাধারণ মানুষের তালিকায় পড়েন না। দেশের রাজনীতির দায়ভার ন্যস্ত তাদের হাতেই। তা, কী কারণে ভারতের রাজধানীর মন্ত্রিমহলে উত্তর দিল্লীর ৩৩, শ্যামনাথ মার্গের বাংলো নিয়ে এরকম অনীহা?

মিছিল দিয়ে চলা উদাহরণ বলছে, এই বাংলোয় যে মন্ত্রীই থাকুন না কেন, তার জীবনের চরম পরিণতি ঘটেছে। কখনও আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে নয়ত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়। নয় তো তারা জড়িয়ে পড়েন কোনও না কোনও এমন বিতর্কে, যার জেরে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অপমৃত্যু হয়েছে।

যেমন, দিল্লির প্রথম মু্খ্যমন্ত্রী চৌধুরি ব্রহ্ম প্রকাশ ১৯৫২ সালে এই বাংলোতে এসে ওঠেন। কিন্তু, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে গদি ছাড়তে হয়। একই ঘটনা ঘটে ১৯৯৩ সালে তৎকালীন দিল্লী মুখ্যমন্ত্রী মদন লাল খুরানার সঙ্গে। অভিশপ্ত এই বাংলোতে বাস করে গদি হারান আরও এক মন্ত্রি চৌধুরি মাঙ্গে রাম।

সব চেয়ে খারাপ ঘটনা ঘটে ২০০৩ সালে। এই বাংলোতেই আচমকা একদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন ভারতের শিল্পমন্ত্রী দীপ চাঁদ বন্ধু। আক্ষেপের বিষয়, শেষ শয্যা থেকে আর ওঠেননি মন্ত্রী। তিনি এই বাংলোতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

তার পর থেকেই নিদারুণ এক আতঙ্ক গ্রাস করে মন্ত্রিমহলকে। দীপ চাঁদ বন্ধুর মৃত্যুর পরে তা বেশ স্পষ্ট ভাবে নজরে আসে। যখন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিং ভার্মাকে এই বাংলোটা থাকার জন্য দেওয়া হয়, তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার দৃষ্টান্তেই সম্ভবত অনুপ্রাণিত হন অন্যান্যরা! ফলে, ২০০৩ সালের পর থেকে অনেকগুলো বছর ফাঁকা পড়ে থাকে উত্তর দিল্লীর ৩৩, শ্যামনাথ মার্গের বাংলো বাড়ি।

তবে, কেরিয়ারের ক্ষতি ছাড়া কোনও মন্ত্রী কোনও দিন এই বাংলোয় ভৌতিক উপদ্রবের মুখে পড়েছেন- এমনটা কিন্তু শোনা যায়নি। বসবাসের জন্যও খুব সুন্দর ভাবেই তৈরি বাংলোটি। চারটি শোওয়ার ঘর, একটি বিশাল বসা এবং খাওয়ার ঘর, চাকর-বাকরদের থাকার জন্য সাতটি ঘর, দুটি গ্যারাজ, একটা গুদামঘর- নিঃসন্দেহে বিলাসিতার অপর নাম!

এমনকী, নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরটিও বেশ প্রশস্ত, আলো-হাওয়াযুক্ত। কিন্তু, হলে কী হবে! অভিশাপের ভয়ে প্রায় সবাই এই বাংলোয় থাকতে নারাজ! কর্মজীবনে ঝুঁকি নিতে কেই বা চান!
৩ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে