শুক্রবার, ০৫ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:১২:৪১

এই ছবিটি কি কোনও ভাবে আপনার বাড়িতে রয়েছে? তাহলে সাবধান!

এই ছবিটি কি কোনও ভাবে আপনার বাড়িতে রয়েছে? তাহলে সাবধান!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়ে দাঁড়ায় ‘ক্রাইং বয়’। পল্লবিত হতে থাকে তাকে ঘিরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিচিত্র ঘটনার কথা।

উপরের ছবিটিকে হয়তো অনেকেই চেনেন। ১৯৮০-র দশক থেকে এই ছবিটির বিভিন্ন রকমের প্রিন্ট যত্রতত্র পাওয়া যেত। এবং অনেকেই সেই সময়ে ছবিটিকে কিনে বসার ঘরে বাঁধিয়ে রাখতেন। ১৯৮০-র দশকে জনপ্রিয় হলেও ছবিটি আঁকা হয়েছিল ১৯৫০-এরও আগে।

‘ক্রাইং বয়’ নামের এই ছবির শিল্পী ছিলেন ব্রুনো আমাদিও বা জভান্নি ব্রাগোলিন নামের জনৈক ইতালীয় চিত্রকর। ‘ক্রাইং বয়’ নামে আরও অনেক ছবিই এর পরে আঁকা হয়, যেগুলিকে এই ছবিটির ‘অল্টারনেটিভ ভার্সন’ বলা যেতে পারে।

ছবিটির শিল্পগুণ যাই হোক না কেন, একে ঘিরে এক বিপুল হইচই শুরু হয়। ১৯৮৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের অন্যতম প্রাধান এক ট্যাবলয়েড সংবাদপত্রে জানানো হয়, বহু জায়গা থেকেই এই মর্মে অভিষোগ আসছে যে, ছবিটি অভিশপ্ত। অভিযোগকারীরা জানাতে থাকেন, ছবিটি রয়েছে এমন বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে এবং আগুনে বিধ্বস্ত সবেশ কয়েকটি বাড়িতে ছবিটিকে পাওয়া গিয়েছে।

সেই সব বাড়ির যাবতীয় আসবাব পুড়ে গেলেও ছবিটি অবিকৃত রয়েছে। এর পরে বেশ কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়ে দাঁড়ায় ‘ক্রাইং বয়’। পল্লবিত হতে থাকে তাকে ঘিরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিচিত্র ঘটনার কথা।

সেই বছর নভেম্বর মাস নাগাদ ছবিটিকে ঘিরে সংস্কার এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, সেই সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে ছবিটির এক গণভস্মীকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাদের সংগ্রহে থাকা ‘ক্রাইং বয়’-এর ছবির প্রিন্ট আগুনে পুড়িয়ে দেন।

তার পরেও সক্রিয় থাকে ‘ক্রাইং বয়’ বিভিন্ন প্রকার ভয় ও আশঙ্কা। এর রহস্যভেদে উদ্যোগ নেয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল। অতিলৌকিক বৃত্তান্তের গন্ধ সেই সব অনুষ্ঠানকে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও দেয়। আজও ‘ক্রাইং বয়’-কে নিয়ে সংস্কার বহমান রয়েছে পশ্চিমে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশ্বাস করেন ছবিটি বাড়িতে থাকেলে অগ্নিকাণ্ড অবশ্যম্ভাবী।-এবেলা

০৫ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এমএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে