সোমবার, ০৮ আগস্ট, ২০১৬, ০২:৪২:০৪

জানেন কি, আমাদের উপমহাদেশে এখনও আছে ভ্যাম্পায়াররা?

জানেন কি, আমাদের উপমহাদেশে এখনও আছে ভ্যাম্পায়াররা?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা! নামটা বললেই সবার আগে মাথায় আসে কাউন্ট ড্রাকুলার কথা। এখন ড্রাকুলাকে তো সাহিত্যে বিখ্যাত করে গিয়েছেন ব্রাম স্ট্রোকার। তার বই পড়ে আমরা জেনেছি, ড্রাকুলা থাকত পেনসিলভ্যানিয়ায়। ফলে, ভ্যাম্পায়ার যে বিদেশি- এরকম একটা ধারণা গেঁথে গিয়েছে আমাদের মাথায়।

কিন্তু, সমীক্ষা বলছে, ভ্যাম্পায়ারের উৎস উপমহাদেশ। ভারতবর্ষ থেকেই না কি রক্তচোষার অস্তিত্বের কথা জেনেছিল সারা বিশ্ব। এবং, সেই মতো লক্ষণ মিলিয়ে খুঁজে পেয়েছিল তাদের। সমীক্ষা এও বলছে, তিব্বতে দেখা গিয়েছিল প্রথম রক্তচোষা। এই জায়গায় এসে একটু থামতে হবে। কেন না, ভ্যাম্পায়ার কাদের বলব, জড়িয়ে পড়তে হবে সেই কূটকচালিতে।

সাধারণত দেখা যায়, রক্তচোষারা মানুষই হয়। কোনও এক ঘটনা তাদের করে তোলে অন্য মানুষের চেয়ে আলাদা। তখন তাদের মধ্যে জন্ম নেয় নিজেকে যে কোনও রূপে বদলে ফেলার ক্ষমতা। জন্ম নেয় মানুষকে এক লহমায় ভুলিয়ে কার্যসিদ্ধির ক্ষমতা। যেমন, কাউন্ট ড্রাকুলা খ্রিস্টের পবিত্র চিহ্ন ক্রুশে তরবারি বসিয়ে দিয়েছিল স্ত্রীর মৃত্যুতে উন্মত্ত হয়ে। তার তখন আর ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না। সেই পাপেই ক্রুশের গা বেয়ে নেমে আসে রক্তের ধারা। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ড্রাকুলা তা পান করে। তার পর থেকেই তাকে অস্তিত্ব রক্ষা করতে হয় ওই রক্তপানের উপর নির্ভর করে।

তবে, ভারতীয় সমাজে রক্তচোষার ধারণা অনেকটা আলাদা। ভারত যেমন বলে বেতালা নামের এক স্ত্রী-রক্তচোষার কথা। এরা ইচ্ছামতো যে কোনও রূপ ধারণ করতে পারে। মোহিনী ক্ষমতায় এরা যে কোনও পুরুষকে বশ করতে পারে। তার পর সেই হতভাগ্যের রক্তপান করে। এছাড়া এদের প্রভাবে গর্ভিণীর গর্ভপাত হয়। এরা যার দিকে তাকায়, সে উন্মাদ হয়ে যায়।

আশ্চর্যের ব্যাপার, যৌনতায় মানুষকে ভুলিয়ে তার রক্তপান করার এই যে স্বভাব- এটা কিন্তু কী ভারত, কী ইউরোপ, সব জায়গাতই ভ্যাম্পায়ারদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আসলে, যৌনতার কাছে তো যে কোনও মানুষই অসহায়। সেই জায়গাটাকেই তাই ব্যবহার করে রক্তচোষারা। -সংবাদ প্রতিদিন

৮ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস‌‌‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে