সোমবার, ০৮ আগস্ট, ২০১৬, ১০:৪৬:৫৮

এই ‘রাক্ষসী’ মাছ নিয়ে বিপদে আছেন জেলেরা

এই ‘রাক্ষসী’ মাছ নিয়ে বিপদে আছেন জেলেরা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এই রাক্ষসী মাছ এখন বিপদে ফেলে দিয়েছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণ নদীর পাশবর্তী জেলেদের। অথচ গত বছর বিশেষ কিছু সুবিধার কথা ভেবে গোদাবরী নদী আর কৃষ্ণ নদীর মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করেছিল সরকার। সেই নদীটিই এখন সেখানকার জেলেদের জন্য অভাবনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জেলেরা জানিয়েছেন, কৃষ্ণ নদীতে এক ধরনের মাছ ঢুকে পড়ছে, যারা অন্য মাছ তাড়িয়ে দিচ্ছে এবং জালের ক্ষতি করছে। এই মাছ আগে কেউ না দেখায় একে বলা হচ্ছে, ‘এলিয়েন মাছ’ বা ভিনগ্রহের মাছ।

এই মাছ নদীতে ভিড় করার কারণে তাদের আয় কমে যাচ্ছে। স্থানীয় টেডপালি গ্রামের জেলে সুরেশ (৩৫) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি মাছ ধরার কাজ করি। বর্তমানে নতুন এই ধরনের মাছ দেখছি। আমরা একে বলছি ‘রাক্ষসী’। রাক্ষসী আমাদের জীবিকা শেষ করে দিচ্ছে।’

মাছটির ধ্বংসের কথা ভেবেই এই নাম দিয়েছে জেলেরা। মাংসাশী এই মাছটি মূলত মাগুর প্রজাতির মাছের মধ্যে পড়ে। তবে এটা আগে কখনো কৃষ্ণ নদীতে দেখা যায়নি। এই নদীতে সাধারণত কাতলা, রেবা কার্প, মৃগেল এবং অন্যান্য ছোট মাছ দেখা যায়।

বাজারেও রাক্ষসীর কোনো চাহিদা নেই। এই মাছটির গায়ের কাটা এতই শক্ত যে একটি মাছই একটি জাল ছিড়ে ফেলতে পারে। আর একবার জালে আটকে গেলে তা খুলতে সময় লাগে দুই ঘণ্টার মতো। তার মানে এ প্রজাতির ১০টি মাছ যদি একটি জালে আটকায় তাহলে তা খুলতে জেলেদের সারাদিন কেটে যায়।

সুরেশ এবং তার সহযোগী জেলেরা জানান, দিনে ২০০ থেকে ৩০০টির মতো মাছ ধরে তারা ৫০০ রুপির মতো আয় করতে পারেন। এখন তাদের মাছ ধরার পরিমাণ কমে গেছে। আর রক্ষসী মাছ কেউ কিনতে চায় না।

সুরেশ বলেন, ‘আমরা দরিদ্র্য পরিবারের মানুষ। এসব মাছ আমাদের জাল ছিড়ে ফেলছে। একেকটি জালের দাম কমপক্ষে ৫০০০ রুপি। রাক্ষসী নদীর অন্য মাছও খেয়ে ফেলছে। আমরা আমাদের জীবিকা হারাচ্ছি।’
০৮ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে