ফেনী : ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় শম্পা নামের এক ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে সোনাগাজীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্রগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, শম্পা বা আরেকটা নাম আছে আমরা শুনেছি। নামটা কিন্তু কনফার্ম না। তারপরও ওই নামের মেয়েটিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। তাকে আমরা তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, মেয়ের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছে। সেখানে এজহারভুক্ত আসামিও আছে। আমরা আশা করছি অতন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকী আসামিদের গ্রেফতার করা যাবে। আমাদের পোশাকি ও সাদা পোশাকি পুলিশ সদস্যরা তদন্তে আছে। অনেক ঘটনার পর পক্ষে বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়, সেখানে রাজনীতি জড়িয়ে যায়। কাজে আমরা আর এখানে মন্তব্য করবো না। কারা অধ্যক্ষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, আমাদের কাছে সব তথ্যই আছে।
এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ‘ডাইং ডিক্লারেশন’ (মৃত্যুশয্যায় দেওয়া বক্তব্য) দিয়েছেন নুসরাত। সেখানে শম্পার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। নুসরাত বলেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরিহিত চারজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই চারজনের একজনের নাম ছিল শম্পা।