ফেনী: পুলিশ সদর দফতর থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে নুসরাতকে বাঁচাতে কনস্টেবল রাসেলের সাহসীপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যদের চোখে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ফেনীর এসপিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলা ও গাফিলতি প্রমাণ যেমন মিলেছে তেমনি অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে (৬ এপ্রিল) কোলে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কনস্টেবল রাসেলের ভূমিকাও ছিল সাহসীপূর্ণ। প্রতিবেদনে এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে পুলিশ কনস্টেবল রাসেলের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে রাসেল কোলে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। এজন্য তার হাত পুড়ে গেছে। দ্রুত নুসরাতকে হাসপাতালে নেওয়া না হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যেতেন। ঘটনার সময় (৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে দশটায় মাদ্রাসার গেটে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে রাসেলসহ তিন কনস্টেবল দায়িত্বরত ছিলেন। কিন্তু অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মাদ্রাসার দারোয়ান মো.মোস্তফার ছাড়া অন্য কেউ সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসেনি। যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টিকে অবহেলার চোখে দেখেছেন সেখানে কনস্টেবল রাসেল পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।