নিউজ ডেস্ক: ‘পবিত্র রমজান মাস যাচ্ছে। আমার কাছে যেন কেয়ামত যাচ্ছে। কারণ সেহেরি ও ইফতারের সময় আমার মেয়ে নুসরাত আমার সাথেই খেতে বসতো। গল্প করতো, পানি গরম করতো। আজকে আমার মেয়ে নেই। সবই আছে। রোজাও আছে।’ কথাগুলো বলছিলেন ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আক্তার।
নুসরাতকে ছাড়া কেমন আছে তার পরিবারটি; জানতে তার বাড়িতে গেলে নুসরাত জাহান রাফির মা এই প্রতিবেদককে এইসব কথা বলেন। নিজের কলিজার টুকরা মেয়েকে ছাড়া এবারই প্রথম পবিত্র রমজান মাস পার করছেন তারা।
নিহত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মা শিরিন আক্তার আরো বলেন, আমার মেয়ে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়েছেন। নুসরাত শহীদ হয়ে গোটা বিশ্বের মানুষের মনে দাগ কেটেছে। সে কবরে চিরনিন্দ্রায় শায়িত আছে। নুসরাতের বাবা, দাদা, চাচা ও ভাই সবাই আলেম। দুনিয়াতে কিছু না পেলেও আখেরাতে আমার মেয়ে শহীদী মর্যাদা পাবে। তিনি বলেন, আমরা ভাল আছি। আমরা জীবিত অবস্থায় নুসরাতের খুনিদের বিচার দেখে যেতে চাই।