ফেনী থেকে : ফেনীর সোনাগাজীর নুসরাত হ*ত্যা মামলায় আরও তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন নুসরাতের দুই সহপাঠী তানাজিমা বেগম সাথী ও জাহেদা তামান্না এবং শিক্ষক নুরুল আবছার ফারুকী।
মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যা*তন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
তানাজিমা বেগম সাথী জানান, ২৭ এপ্রিল মাদ্রসার পিয়ন নুরুর আমিন নুসরাতকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দ্যৌলার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নুসরাতের শ্লীল*তাহা*নি করা হয়। পরের দিন নুর উদ্দিন ও শামীম তাকেসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জোর করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দ্যৌলার পক্ষে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে নিয়ে যায়।
সাথী জানান, নুসরাত তামান্নার উদ্দেশ্যে খাতায় যে চিঠি লিখে গিয়েছিলেন তা তারা প্রথমে জানতো না। পরে শুনেছে। চিঠিতে নুসরাত লিখেন, তোরা আমার ক্লোজ বান্ধবী হয়েও জানলিনা সিরাজ উদ দ্যৌলা আমার সাথে কি আচরণ করেছে? আমি এর শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।
নুসরাতের অপর সহপাঠী বিবি জাহেদা তামান্না জানান, সাথীর কথা আর আমার কথা এক। আদালত তাই তামান্নার স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করে সাথীর সাক্ষ্যকে তামান্নার সাক্ষ্য হিসেবেও গ্রহণ করে নেন।
মামলার অপর সাক্ষী শিক্ষক নুরুল আবছার ফারুকী জানান, ঘটনার দিন আমি একটি হলের পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলাম। পরীক্ষা শুরু হওয়ার মুহূর্তে দেখি একটি মেয়ের পোড়া শরীর উপর থেকে নামানো হচ্ছে। পরে জানতে পেলাম সে নুসরাত। আমি ঘটনাটি সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি।
পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মূলতবি করা হয়। বুধবার ৪ সাক্ষ্য দেবেন মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক খুজিস্তা খানম, আকলিমা আক্তার, মো. কায়সার মাহমুদ ও আয়া বেবি রানি দাস।